বরুণকুমার মজুমদার, করণদিঘি: উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা। চেকিং, সুপার চেকিংয়ের পরে চূড়ান্ত তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের ‘মাস্টার রোল’ তৈরি করে ট্রেজারির মাধ্যমে সরাসরি টাকা পাঠানো হচ্ছে উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার করণদিঘি ব্লকেও। তবে উপভোক্তাদের একাংশের দাবি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে হারে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে তাতে প্রকল্পের পুরো টাকা হাতে পেলেও, একটা বাড়ি তৈরি করা কতটা সম্ভব হবে!
করণদিঘি (Karandighi) ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েত মিলিয়ে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন প্রায় ৫৪০০ জন উপভোক্তা। অপরদিকে বেড়েছে বালি, পাথর, সিমেন্ট, ইট ও রডের মূল্য। গৃহনির্মাণের সামগ্রীর দাম বাড়লেও বাড়েনি আবাস যোজনার ঘরের টাকা। ফলে চিন্তার ভাঁজ উপভোক্তাদের কপালে। পাশাপাশি মিস্ত্রি জোগানের ক্ষেত্রেও রয়েছে ঘাটতি।
ডালখোলা-১ (Dalkhola) নম্বর পঞ্চায়েতের উপভোক্তা শুক্লা মজুমদার বলেন, ‘যে বালির দাম প্রতি ট্র্যাক্টর সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা ছিল, তার দর এখন সাড়ে চার হাজার টাকা।’
তাঁর প্রশ্ন, ‘সরকার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার পর বাড়ির কাজ অর্ধেক এগিয়ে গেলে বাকি টাকা দেবে? এখন সব কিছুর যা দাম তাতে ওই টাকায় কীভাবে এতটা কাজ হবে, বুঝতে পারছি না।’
বাংলার বাড়ি’র উপভোক্তা করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর-১ পঞ্চায়েতের বামোল গ্রামের বাসিন্দা শেফালি ওরাওঁ বলেন, ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা ঢোকার আগে ১০ টাকায় বিক্রি হওয়া ইটের দাম এখন ১২ টাকা। ঢালাই পাথরের দাম প্রতি ট্রলি হাজার টাকা বেড়েছে।’
করণদিঘি ব্লকের বিডিও জয়ন্ত দেবব্রত চৌধুরী বলেন, ‘ইমারতি সামগ্রীর কোনওরকম কালোবাজারি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন এলাকায় ইট, বালি, স্টোন চিপস, রড ও সিমেন্টের দোকানে নিয়মিত নজরদারি চলবে।’