উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আইপিএলের মতো মঞ্চে শতরান ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর। এই ঘটনায় বিস্মিত গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। কেউ ভাবতেই পারছে না এত অল্প বয়সে কী করে সম্ভব এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং! সোমবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে সূর্যবংশী একের পর এক বিশ্বসেরা বোলারদের বল উড়িয়ে দিলেন গ্যালারিতে। যদিও বৈভবের এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একেবারেই বিস্মিত নন ছোটবেলার কোচ মণীশ ওঝা। ব্যাট হাতে পেলে তাঁর ছাত্র কী করতে পারে, সেটা অজানা নয় মণীশের। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র ১০ বছর বয়সেই ৯০ মিটার দূরত্বের একাধিক ছক্কা মেরেছেন সূর্যবংশী।
বিশ্বের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সূর্যবংশী শতরান করার পর কোচ মণীশ বলেছেন, ‘‘২০১৮ সালে প্রথম দিন বাবার সঙ্গে কোচিং ক্যাম্পে এসেছিল। সে দিন আমি ছিলাম না। তার এক সপ্তাহ পর দেখা হয়েছিল সূর্যবংশীর সঙ্গে। ক্রিকেটের জন্য এক দিনও সূর্যবংশীকে বকাঝকা করতে হয়নি আমায়। ছাত্র হিসাবে অসম্ভব ভাল সূর্যবংশী। কোন শট বা টেকনিক ওকে দ্বিতীয় বার বোঝাতে হয়নি। এক বারে শিখে নিত ছোট থেকে।’’
মণীশ বলেছেন, ‘‘প্রথম থেকেই দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ বল খেলত সূর্যবংশী। ছোট থেকে ওকে ফুলটস বলে অনুশীলন করাতাম। ছোট বেলায় বোলিং মেশিনের বল খেলতে পারত না। বলের গতি সামলাতে পারত না। মাথার উপর দিয়ে বল চলে যেত। জোর দিতাম শটের টাইমিং এবং টেকনিকের উপর। সাধারণত ওকে ব্যাট একটু উঁচুতে তুলে ধরতে বলতাম। বলের লাইনে গিয়ে খেলতে বলতাম। ক্রিকেটের সব ধরনের শট ওকে শেখাতাম। কাট, পুল, ব্যাট-ফুট পাঞ্চ মারা যেমন শিখিয়েছি, তেমনই বল ছাড়তেও শিখিয়েছি। হাত খুলে ব্যাট করতে বলতাম। মাঠের কোন জায়গায় শট মারা যাবে না বলে দিতাম। তুলে মারতে বলতাম ফিল্ডারদের এড়ানোর জন্য। ছোট থেকেই ৯০ মিটার দূরত্বের ছয় মারতে পারত। তখন ওর বয়স বছর দশেক হবে।’’