মুম্বই: শচীন তেন্ডুলকার-বিনোদ কাম্বলি। রমাকান্ত আচরেকরের দুই ছাত্র। দুজনের মধ্যে কে এগিয়ে, এই আলোচনায় একসময় চায়ের কাপে ঝড় উঠত। তবে কাম্বলি সময়ের গভীরে হারিয়ে যান। অসুস্থতার জেরে এখন তাঁর চেহারায় বয়সের ছাপ পড়েছে। ৫০ বছরে শরীর এতটাই ভেঙে গিয়েছে যে, দেখে মনে হচ্ছে ৭০ ছাড়িয়েছেন। এবার বাধ্য হয়েই নিজের অসুস্থতা নিয়ে বিবৃতি দিলেন কাম্বলি। জানালেন সুস্থ হতে রিহ্যাবে যেতেও রাজি তিনি।
সম্প্রতি জানা গিয়েছিল গুরুতর অসুস্থ বিনোদ কাম্বলি। আর্থিকভাবেও সচ্ছল নন। তিনি জানিয়েছেন, মূত্রনালির সংক্রমণে ভুগছেন। ছেড়েছেন সমস্ত নেশা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এখন অনেকটাই ভালো আছি। আমাকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে হবে। সেই জন্য রিহ্যাবে যেতেও রাজি আছি।’ যদিও এই পরিস্থিতির জন্য কাম্বলির উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনকে দায়ী করা হয়। আবার একাংশের অভিযোগ, শচীনের উচিত ছিল বন্ধুকে আরও সাহায্য করা। বিনোদ কাম্বলি নিজেও একটা সময় সেটাই মনে করতেন। তবে এখন তাঁর ধারণা বদলেছে। কাম্বলি নিজেই এবার বললেন, ‘শচীন আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। ২০১৩ সালে দুটো সার্জারির অর্থ বহন করেছে।’ শুধু চিকিৎসাই নয়, কেরিয়ারেও মাস্টার ব্লাস্টারের থেকে পরামর্শ পেতেন বলে জানিয়েছেন কাম্বলি।