নয়াদিল্লি: মাঝে ঠিক ৫ দিনের ব্যবধান। রোহিত শর্মার পথেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বিরাট কোহলির। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মাঝে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে কার্যত জোড়া ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। নেপথ্যে ধরা হচ্ছে হেডকোচ গৌতম গম্ভীরকে। বাস্তব যাই হোক, ভারতীয় ক্রিকেটে দুই নক্ষত্রপতনে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল। গুরুত্বপূর্ণ দুই মহাতারকার শূন্য জুতোয় পা রাখার চ্যালেঞ্জ নতুনদের সামনে। বিরাটের অবসর ঘোষণার পর যা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। সবকিছু ছাপিয়ে কোহলি-আবেগ।
স্বামীর যে মাহেন্দ্রক্ষণে আবেগতাড়িত স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও। সমাজমাধ্যমে সেই আবেগের প্রতিফলন। অনুষ্কা লিখেছেন, ‘সবাই তোমার রেকর্ড, মাইলস্টোন নিয়ে বলবে। তবে আমি বলব তোমার না দেখা চোখের জল নিয়ে। তোমার ভিতরে চলা যে যুদ্ধটা, যা কেউ দেখেনি। এই ফর্ম্যাটের প্রতি তোমার অপরিসীম ভালোবাসা। জানি তোমাকে কতটা দিতে হয়েছে এজন্য।’
স্ত্রী হিসেবে সাক্ষী থেকেছেন প্রতিটি সিরিজে বিরাটের শিখরে পা রাখার মুহূর্তের। স্বামীকে নিয়ে লেখা বার্তায় অনুষ্কা আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি সিরিজে দেখেছি তুমি একটু একটু করে উন্নতি করেছ। একই সঙ্গে বিনীত হয়েছ। তোমার এই বদলগুলি দেখা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। অনেক সময় কল্পনা করেছি, তুমি টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছ। কিন্তু তুমি বরাবর নিজের হৃদয়ের কথা শুনেছ। আজ তোমাকে আমার ভালোবাসাটুকুই জানাব, এই দুর্দান্ত জার্নিতে তুমি যা অর্জন করেছ তার জন্য।’
ভাইয়ের টেস্ট অবসরের মুহূর্তে কলম ধরেছেন দাদা বিকাশ শর্মাও। সমাজমাধ্যমে বিরাটকে নিয়ে গর্বের কথা তুলে ধরেন। লিখেছেন, ‘চ্যাম্প, দুর্দান্ত টেস্ট জার্নি। এই ফর্ম্যাটে তুমি যা অবদান রেখেছ, তা কখনও পূরণ হবে না। তোমার জন্য সবসময় গর্ববোধ করব ভাই।’
কিংবদন্তি ছাত্রকে নিয়ে স্বভাবতই গর্বিত বিরাটের ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা। চোখের সামনে দেখেছেন এক নাছোর ছেলের বিশ্বজয়। সারথি হয়েছেন যে সফরে। সেই গর্ব নিয়ে লিখেছেন, ‘দুই চোখে স্বপ্ন নিয়ে তরুণ প্রতিভা থেকে কিংবদন্তি হয়ে ওঠা, লাল বলের আঙিনায় রাজত্ব চালানো- তোমার এই সফর অসাধারণের থেকে কিছু কম নয়। চোখের সামনে তোমার বেড়ে ওঠা, লড়াই, নেতৃত্ব, অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠা, আমার জীবনে পাওয়া সবথেকে বড় খুশি। আবেগ আর আত্মত্যাগের নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছ। তোমার আগুনটা মিস করবে টেস্ট ক্রিকেট। তোমার টেস্ট লেগাসি চিরকাল থেকে যাবে। দুর্দান্ত এই সফরে প্রতিটি মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তোমাকে নিয়ে গর্বিত আমি।’