নয়াদিল্লি: মাঝে আর কয়েকটা দিন। মাস ফুরোলেই বিলেত সফর। পাঁচ ম্যাচের কঠিন সফর। তার আগেই মাথার ওপর থেকে জোড়া ছাতা সরে যাওয়া। রোহিত শর্মার টেস্ট অবসরের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই বিরাট কোহলির বিদায়। জোড়া বিদায়ে নিঃসন্দেহে যে ইংল্যান্ড সফরের চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। বাড়তি দায়িত্ব তরুণ ব্রিগেডের ওপর। যার নেতৃত্বে ধরা হচ্ছে শুভমান গিলকে।
বিরাটের অবসর প্রতিক্রিয়ায় সেই শুভমান জানান, কোহলি লাখো মানুষের মনস্তত্ত্ব বদলে দিয়েছে। সম্ভাব্য টেস্ট অধিনায়ক শুভমান সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘তোমাকে নিয়ে যাই লিখি না কেন, পুরো অনুভূতিটা মেলে ধরা মুশকিল। সেই ১৩ বছর বয়স থেকে তোমাকে ব্যাট করতে দেখছি। অবাক হয়েছি, তোমার এনার্জি দেখে। তোমার সঙ্গে মাঠে কাটানো বড় প্রাপ্তি। তুমি শুধু একটা প্রজন্ম নয়, লাখো মানুষের মানসিকতা বদলে দিয়েছ। জানি তোমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্ব কতটা। আশাবাদী, আমাদের প্রজন্ম সেই আগ্রাসন, দায়বদ্ধতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। তোমার থেকে যা পেয়েছি, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ পাজি।’
জসপ্রীত বুমরাহর উত্থান বিরাটের নেতৃত্বে। প্রথম টেস্ট অধিনায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুমরাহ লিখেছেন, ‘তোমার নেতৃত্বে টেস্ট অভিষেক। তোমার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। তোমার আবেগ, এনার্জি মিস করব। তবে তুমি যে পরম্পরা ছেড়ে যাচ্ছ, তা তুলনাহীন। অভিনন্দন সাদা পোশাকের দুর্দান্ত জার্নির জন্য।’
দীর্ঘদিনের সতীর্থ আজিঙ্কা রাহানের কথায়, বিরাটের মতো তারকার সঙ্গে ভারতের সাজঘরে থাকাটাই গর্বের, বড় প্রাপ্তি। তাঁর সৌভাগ্য তিনি সেই সুযোগ পেয়েছেন। আরও লেখেন, ‘তোমার সঙ্গে কাটানো অসাধারণ সব মুহূর্ত, যুগলবন্দি মনের মণিকোঠায় চিরকাল থেকে যাবে। অভিনন্দন দুর্দান্ত টেস্ট কেরিয়ারের জন্য।’
ইয়ং ব্রিগেডের অন্যতম মুখ যশস্বী জয়সওয়ালের মুখে বিরাট-রোহিতের কথা। তরুণ বাঁহাতি ওপেনার জানান, দুজনকে দেখে ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর বেড়ে ওঠা। বিরাট-রোহিতকে ভারতীয় দলের জার্সিতে দেখে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন। যশস্বী আরও লিখেছেন, ‘বিরাটভাই, রোহিতভাই, তোমরা দুজনে শুধু আমার কাছে নয়, গোটা প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। তোমাদের আবেগ, তাগিদ ক্রিকেটের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আরও বাড়িয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে তোমরা যে প্রভাব ফেলেছ, তা তুলনাহীন। তোমাদের সঙ্গে খেলা, মাঠে থাকা আমার কাছে সম্মানের।’
কিংবদন্তি টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচও আবেগতাড়িত। কোহলিকে নিয়ে দুই শব্দের পোস্ট করে লিখেছেন, দুর্দান্ত ইনিংস। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন গ্রেগ চ্যাপেলও। গুরু গ্রেগ বলেন, ‘শচীন জিনিয়াস। ধোনি মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান। কিন্তু কোহলি বদলে দিয়েছিল মানসিকতা। সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন মেরুদণ্ড দেয়। ধোনির ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব। আগুনটা জ্বালিয়েছিল কোহলিই। শচীনের কথা মাথায় রেখেও বলব, ভারতীয় ক্রিকেটকে সবথেকে বেশি প্রভাবিত করেছে ও। অস্ট্রেলীয় না হয়েও অনেক বেশি অস্ট্রেলীয় বিরাট।’