উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বান্দ্রায় নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত (Stabbed) হন অভিনেতা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। ছয়বার তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর আহত হন সইফ। এমনকি অস্ত্রোপচারও করা হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশের বাসিন্দা শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ। তবে এই হামলার ঘটনা নিয়ে এখনও উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। এমনকি এবার সইফের উপর হামলার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে (Nitesh Rane)। অভিনেতাকে ‘আবর্জনা’ বলে কটাক্ষও করেন তিনি। সইফকে সত্যিই ছুরিকাঘাত করা হয়েছে কি না এই প্রশ্ন তুলে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (সইফ) হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তা দেখেছি আমি। কিন্তু আমার সন্দেহ হচ্ছিল, তাঁকে সত্যিই ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি তিনি অভিনয় করছিলেন? কারণ তিনি নাচতে নাচতে হেঁটে বাইরে বেরিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন বাংলাদেশিরা কী করছে মুম্বইয়ে। আগে ওরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এখন ওরা সইফ আলি খানের বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে। হয়তো ওই বাংলাদেশি ব্যক্তি সইফকে নিতে এসেছিল। সেটা বরং ভালোই, আবর্জনা সরিয়ে নেওয়াই উচিত।’ শুধু নীতেশ রানেই নন, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় নিরুপমও (Sanjay Nirupam) একই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘যেভাবে সইফ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছিলেন মনে হচ্ছিল ছয়দিন আগে কিছুই হয়নি।’
সইফের উপর হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিনও (Taslim Nasrin)। তাঁর কথায়, ‘সইফ আলি খানের কোনও গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত তারকাদের বিল্ডিংয়ে কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই, বিশ্বাস করা যায় না। সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোরবাবাজি বেরিয়ে গেল। দারোয়ান কিংবা সইফের বাড়ির কোনও কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকাল না। সইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হল সাত বছর বয়সী তৈমুরকে। তাও আবার অটোয়। করিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
এখানেই থামেননি তসলিমা। তিনি আরও লেখেন, ‘সইফের মেরুদন্ডের খুব কাছে নাকি আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিল ছুরি। অস্ত্রোপচার হয়েছে দীর্ঘ ছ’ ঘণ্টা, স্পাইনাল ফ্লুয়িড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন। যদিও চারদিন পর সইফকে দেখে মনে হয়নি, তাঁর আদৌ কিছু হয়েছে। ঘটনাটা যখন পাবলিক করা হয়েছে, তখন প্রাইভেসি রক্ষা করার নামে মুখে কুলুপ আঁটা তো ঠিক নয়। খুব অদ্ভুত লাগছে যে সইফ আলি খান জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সেই রাতে, যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে-ই আসল অপরাধী কি না। তিনিই জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু?’