দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: বিল বা পুকুর নয়, প্রকাশ্যে রেলের জলাজমি(Water Bodies) ভরাট করে বিক্রি করা হয়েছে। রায়গঞ্জ(Raiganj) শহর ঘেঁষা সুভাষগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে জমি ভরাট হলে এবছর বর্ষায় ডুবে যাবে গোটা এলাকা। তাঁদের অভিযোগ, গোটা বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও রায়গঞ্জ মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক শিবব্রত দাসের দাবি, নির্দিষ্ট রয়্যালটি দিয়ে শুধুমাত্র কনভারশন করা জমি মাটি ভরাট করা হয়েছে।
এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক বিজয় পাল। তিনি বলেন, ‘পূর্বপুরুষদের আমল থেকে রেলের জমিতে এই বিল ছিল, তাহলে রেলের জমি কীভাবে রেজিস্ট্রি হল? তাছাড়া জলাজমিই বা কীভাবে বাস্তুতে কনভারশন হয়? এনওসিই’ই বা কীভাবে দেওয়া হল?’ গ্রামবাসী অনিমেষ পাল বলেন, ‘সুভাষগঞ্জে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। এভাবে জলাজমি ভরাট হলে আগামীতে কী হবে জানি না।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই মাঝেরপাড়ায় জমি মাফিয়ারা জলা বোজাচ্ছে। এলাকার কিছু মৎস্যজীবী ওইসব জলায় মাছ চাষ করতেন। বিল ভরাটের ফলে তাঁদের রুটিরুজিও বিপন্ন হবে।
শুক্রবার এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা শোনেন মাড়াইকুড়া পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও যুব তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি কুশল প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘এখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিকপক্ষ আমাকে অনেক কাগজপত্র দেখিয়েছে। আমি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।’
জমির মালিক কুশচন্দ্র পোদ্দারের দাবি, তাঁরা এই জমি সাতজন মিলে কিনেছেন। এটি জলা বা পুকুর ছিল না, নীচু জমি ছিল। তাই জলা থেকে কনভারশন করে বাস্তুতে করেছেন। তবে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না, কারণ সেখানে কালভার্ট রয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের সাফ কথা, বিল ভরাট করা যাবে না।