শিলিগুড়িঃ শুক্রবার পানীয় জল ইস্যুতে শুক্রবার বিজেপির বিক্ষোভে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি পুর নিগম চত্ত্বরে। এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ বিজেপির কয়েক’শ কর্মী সমর্থক মিছিল করে পুরনিগমে ঢোকার চেষ্টা করলে। গেটের মুখেই তাঁদের আটকে দেয় শিলিগুড়ি পুলিশ। জোর করে পুর নিগমে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। নিমেশে পুর এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল একই ইস্যুতে শিলিগুড়ি পুরনিগমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিপিএম। আর আজ বিজেপির বিক্ষোভে তোলপাড় হল পুর চত্ত্বর।
পানের অযোগ্য শিলিগুড়ির পুর নিগমের সরবরাহ করা জল। দুদিন আগেই সেই জল পান না করার জন্য শহরবাসীর কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন মেয়র গৌতম দেব। মেয়রের এই ঘোষণার পরই শোরগোল পড়ে যায় শিলিগুড়িতে। এই পানীয় জল ইস্যুতে গতকাল শিলিগুড়ি পুর নিগম চত্ত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিপিএম। মেয়র গৌতম দেবকে ঘিরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। এদিন সেভাবে পুলিশ মোতায়েন ছিলনা পুরনিগমে।
একই ইস্যুতে শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে বিক্ষোভ দেখাতে আসে বিজেপি। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন। ছিলেন অন্যান্য বিজেপি কাউন্সিলার, বিজেপির যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বিজেপির কয়েক’শ কর্মী সমর্থক মহানন্দার জল নিয়ে শিলিগুড়ি পুর নিগমে আসেন। পরিকল্পনা ছিল মেয়র গৌতম দেবকে স্মারকলিপি প্রদান। বিজেপির বিক্ষোভের আগাম খবর পেয়ে আগে থাকতেই পুরনিগমের মুল গেটের সামনে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। ছিলেন পুলিশের পদস্ত কর্তারা। এদিন বিজেপির মিছিল আসামাত্রই গেটের সামনেই ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে বচসা। জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। পুলিশের বাধা পেয়ে বিজেপি কর্মীরা গেটের সামনে মেয়রের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সেটাতেও বাধা দেয়। কুশপুত্তলিকা দাহ করতে না পেরে, সেটিকে ছুড়ে দেয় পুরনিগমের গেটের ভিতরে। মিছিলে মহানন্দা নদী থেকে আনা জল পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। গেটের সামনেই রাস্তার ওপরে বসে পড়েন বিজেপির বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় পথ অবরোধ। ঘটনাস্থলে এখনও বিক্ষোভ অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

