শুভদীপ শর্মা, ময়নাগুড়ি : দু’দিন ধরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ ময়নাগুড়ি শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিশেষ করে শহরের ৪, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরিস্রুত পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন ৩ হাজার বাসিন্দা। অভিযোগ, কিছু এলাকায় নতুন পাইপলাইন বসানো ও কিছু জায়গায় পাইপলাইন ফেটে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় পৌঁছাচ্ছে পানীয় জল। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পঙ্কজকুমার রায়।
ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার জন্য গোটা পুর এলাকায় কাজ চলছে। বর্তমানের এই সমস্যা সাময়িক।’
একে তো দিনকয়েক ধরে তাপমাত্রার পারদ লাফিয়ে লাফিয়ে চড়ছে। এরই মাঝে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পানীয় জল বন্ধ থাকায় ভয়ংকর সমস্যায় পড়েছেন পুরবাসী। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে থাকা ময়নাগুড়ি–মালবাজারগামী জাতীয় সড়কের পাশাপাশি সিনেমা হল মোড় থেকে দুর্গাবাড়ি মোড় পর্যন্ত যাওয়ার রাজ্য সড়কের দু’পাশে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের একটি কলেও জল আসছে না। একই সমস্যা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। যে কারণে পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন না ওই তিন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ময়নাগুড়ি পাওয়ার হাউস সংলগ্ন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, তপন মজুমদার প্রমুখ জানান, এলাকার বেশিরভাগ কুয়োর জল পানের অযোগ্য। এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাদের পানীয় জলের ভরসা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পানীয় জল। কিন্তু দু’দিন ধরে সেটাও অমিল। বাধ্য হয়েই অনেকে কুয়োর জলই খাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও কুয়োর জল পান করে অনেকে পেটের সমস্যায় ভুগেছেন। এখন বাধ্য হয়ে কুয়োর জল খেতে হচ্ছে। ফলে এলাকার পেটের রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অশোক প্রধান বলেন, ‘দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান করা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।’ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজেশ সরকারের কথায়, ‘এখানে জল না মেলায় বহুদূর থেকে পুরাতন বাজারে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের রিজার্ভারের সামনে থেকে জল আনতে বাধ্য হচ্ছি।’
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ময়নাগুড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ঝুলন সান্যাল। তিনি বলেন, ‘জল বন্ধ থাকায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে ট্যাংক দিয়ে এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’