উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জলপাইগুড়ি দম্পতির রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় জলপাইগুড়িতে তদন্তে এলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি কালিয়াপ্পন জয়রামন। এদিন জয়রামনের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য পুলিশের তদন্তে অনাস্থার কথা জানিয়ে দেন মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয় এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্যের। এই ভট্টাচার্য দম্পতি সম্পর্কে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়।
বছর ছয়েক আগে এই দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতেই জলপাইগুড়িতে শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল, তাই তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য ছড়ায়। প্রথম থেকেই এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয় বলেই দাবি করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায়। ওই দম্পতির বাড়ি থেকে চার পাতার সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন জনের নাম পাওয়া গেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির এক তৃণমূল কাউন্সিলর আত্মসমর্পণও করেন। কিন্তু প্রথম থেকেই তদন্ত সঠিক দিশায় এগোয়নি বলে অভিযোগ।
এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়, রাজ্য পুলিশের এডিজি কালিয়াপ্পন জয়রামনকে। তারপরেই এদিন সকালে জলপাইগুড়িতে আসেন তিনি। তদন্তকারি অফিসার শিবু কর এবং কোতয়ালি থানার আই সি অর্ঘ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর জয়রমনের সঙ্গে কথা বলতে আসনে দম্পতির মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্য এবং মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যটার্জী জলপাইগুড়ি পুলিশ গেস্ট হাউজেই জয়রামনকে শিখাদেবী পরিষ্কার জানিয়ে দেন পুলিশ প্রভাবশালীদের নির্দেশে তদন্ত করছে, তাই সেই তদন্তে তাঁর কোনও আস্থা নেই। তাই সিবিআই তদন্তই দাবি করছেন তাঁরা।