উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাজার হাজার সরকারী কর্মচারীরা কলকাতার বুকে ডিএর দাবিতে মিছিল করল শনিবার। এইদিনই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন পা দিয়েছে ১০০ দিনে। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষেই এদিন হাজরা রোড, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি হরিশ মুখার্জি রোডে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে আন্দোলনকারীরা। স্লোগানের সুর, মেজাজ, সাজসজ্জা যেন হার মানাবে ছাত্র-যুব মিছিলকেও। সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল একটি শবদেহ-সহ খাটিয়া রয়েছে। তবে সেই শব প্রতীকী। সেই খাটিয়ার গায়ে লেখা ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিবেক।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর হাজরা বা কালীঘাট এলাকায় এত বড় রাজনৈতিক মিছিল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়াতে তো নয়ই। কারণ পুলিশ অনুমতিই দেয় না। তবে ডিএ আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টের অনুমতিতে মিছিল করছেন এদিন। একাধিক শর্ত বেঁধে দিয়ে কর্মচারীদের মিছিল করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই শর্ত মেনেই মিছিল করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। এদিন খাদ্য ভবনের একদল কর্মচারী হাজরা মোড়ের অদূরেই যগু বাবুর বাজার থেকে একটি শববাহী খাটিয়া কেনেন। এদিন সেখান থেকেই খাটিয়া কিনে তাতে একটি পুতুলকে শুইয়ে দেন। দেওয়া হয় ফুল মালাও। জ্বালান হয় ধূপও। সেই খাটিয়ার গায়ে লেখা ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিবেক।’
বাম জমানায় নানান ইস্যুতে এমন খাটিয়া নিয়ে মিছিল করতে দেখা যেত তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেই খাটিয়ায় শোয়ানো প্রতীকী শবদেহের গায়ে লেখা থাকত ‘হার্মাদ রাজ’। এবার তারই পালটা দিলেন ডিএর আন্দোলনকারীরা। তৃণমূল জমানায় একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় একই কায়দায় খাটিয়া হাজির করলেন সরকারি কর্মচারীরা। কাধে নিয়ে মিছিলও করলেন তারা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, ইতিহাস লেখা হচ্ছে হাজরা মোড় এলাকায়। তাঁদের দাবি, অভাবনীয় জমায়েত হয়েছে শনিবার। তাঁরাও কল্পনা করেননি, দূরবর্তী জেলা থেকে এত কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা আসবেন।