উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোররাতে কসবা ল’ কলেজে পুলিশ! সঙ্গে গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ‘এম’, ‘জে’ ‘পি’ এবং নিরাপত্তারক্ষী। কী এমন ঘটল ভোররাতে মূল অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটতে হল পুলিশকে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পুনর্নির্মাণ (Crime scene reconstructed) করার জন্য চার অভিযুক্তকে সঙ্গে করে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুনর্নির্মাণ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। যা তদন্তে সবার্থে গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশের তরফে জানা গেছে, এদিন ভোর তিনটে নাগাদ চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলেজে। তাদের নিয়ে যাওয়ার আগেই গোটা কলেজ ছিল পুলিশের ঘেরাটোপে। মূল অভিযুক্তদের সামনেই ভোর তিনটে থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়। এরপর অভিযুক্তদের নিয়ে কলেজ (Kasba Law College) থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ। এদিকে পুনর্নির্মাণের সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা ঘটনাস্থলের থ্রিডি স্ক্যানিংও করেছেন। মূলত নির্যাতিতা যে বয়ান দিয়েছেন, তার সঙ্গে ঘটনার কতটা মিল রয়েছে তাই দেখা হবে পুনর্নির্মাণ থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে। যদিও ইতিমধ্যেই ঘটনার দিন কলেজ ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। পাশাপাশি মূল অভিযুক্তদের (Accused) ফোন লিস্ট দেখা হচ্ছে এবং ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের নামে আগে থেকে বহু মেয়েকে হেনস্তা, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার নামে থানায় ১১ টি অভিযোগও রয়েছে। এতকিছুর পরেও কলেজে ছাত্র পরিষদের নেতা এবং ওই কলেজেই কর্মরত ছিলেন ‘এম’ ওরফে মনোজিৎ। পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবে আলিপুর আদালতে প্র্যাকটিসও করতেন। যদিও এই ঘটনার পর তাকে রাজ্য বার কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তিনি ঠিক কার মদতে দিনের পর দিন এভাবে কলেজে দাপট দেখিয়েছেন? যদিও সেই নাম আদৌ সামনে আসবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।