শুভাশিস বসাক, ধূপগুড়ি: নামেই সেতু। অস্থায়ীভাবে তৈরি কাঠের নড়বড়ে গান্ডারা সেতু দিয়ে বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়তের মান্তাপাড়া ও গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। সেতুর যা অবস্থা তাতে একটি বাইক পার করা ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের আগে নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু আদতে কোনও কাজ হয় না। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগেও স্থায়ী সেতু গড়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটলে সেতুর ব্যাপারে কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। ধূপগুড়ি (Dhupguri) পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দীপু রায় বলেন, ‘ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সেতুর কাজ শুরু হবে।’
শুধু এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নয়, পার্শ্ববর্তী কোচবিহার জেলার ফুলবাড়ির প্রচুর মানুষ ও কৃষকরা নিয়মিত গান্ডারা সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। কোচবিহারের বাসিন্দা মহাবুল হোসেনের কথায়, ‘আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে সেতুর যা অবস্থা। কাঠের কাঠামোর ওপর দিয়ে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ একই দাবি ওই এলাকার আরেক কৃষক বুলবুল হোসেনর। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রতি মুহূর্তে কৃষিজ সামগ্রী নিয়ে ধূপগুড়ি যেতে হয়। সেতু না থাকায় কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। বারবার নেতা-মন্ত্রীদের বলেও সুরাহা হয়নি। উলটো প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কবে গান্ডারা নদীর ওপর স্থায়ী সেতু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি।’
এদিকে, বর্ষায় ওই এলাকায় অন্যতম সমস্যা বন্যা। গান্ডারা নদীর জলস্ফীতিতে আশপাশের এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ সেখানে কোনও বাঁধ নেই৷ এলাকাবাসী বানভাসি হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে স্থানীয় সূত্রে খবর, সেতু তৈরির মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে অর্থসমস্যা হবে৷ তাই গান্ডারা সেতু নিয়ে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।