উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গরম দুধে পাতিলেবুর রস দিলেই কিছুক্ষণ পরে দুধ কেটে যায়। তা থেকেই তৈরি হয় ছানা। ছানা তৈরির পর সেই জলটা ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু জানেন কি, ছানার জলের পুষ্টিগুণ মোটেই কম নয়? এতে থাকে প্রোটিন ও ভিটামিন। কিডনি বা হার্টের সমস্যা থাকলে ছানার জল খেতে পারেন। ছানার জল কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন? জেনে নিন…
১। পনিরের বিভিন্ন পদ, ছানার কালিয়া তৈরির সময় এই জল ঝোল তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণ জলের বদলে রান্নায় ছানা কাটানো জল ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। স্বাদ ও গন্ধ অন্য রকম হবে।
২। লস্যি বানানোর জন্যও ছানার জল ব্যবহার করতে পারেন। দইয়ের সঙ্গে ছানার জল ও চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিলেই লস্যি তৈরি হয়ে যাবে। বাড়তি পুষ্টিগুণও যোগ হবে। শুধু ঠান্ডা পানীয় নয়, গরম স্যুপ বানাতেও ছানার জল ব্যবহার করতে পারেন।
৩। দোসা ও ইডলি বানানোর মিশ্রণ কয়েক ঘণ্টা গরমে রাখতে হয়। যাতে মিশ্রণটি গেঁজিয়ে ফুলে ওঠে। ছানার জল এই প্র্রক্রিয়া তরান্বিত করতে পারে। এতে থাকে উপকারী ব্যক্টেরিয়া। এ জন্য, ছানার জলে চাল ও বিউলির ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠলে দেখা যাবে চাল ও ডাল জল টেনে বেশ ফেঁপে উঠেছে। এর পর তা বেটে নিয়ে ইডলি বা দোসা বানাতে পারেন, খেতে ভাল হবে।
৪। সাধারণ জলের বদলে ছানার জলে চাল ফোটালে ভাতের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, লেবুর রস দিয়ে ছানা কাটানোর ফলে জলে লেবুর গন্ধ থেকে যায়। ভাতেও সেই গন্ধ পাওয়া যাবে। তবে লেবুর রস থাকায় এই জল দিয়ে দিয়ে চাল সেদ্ধ করলে তাতে সামান্য টক স্বাদ পাওয়া যেতে পারে।