উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শিরোনামে যাদবপুর। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনার জলপাই পোশাক পরা ব্যাক্তিদের প্রবেশ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কেন্দ্র অরবিন্দ ভবনের ভিতরে বুধবার সকালে সেনার পোশাক পরিহিত ২০ জনকে দেখা যায় প্রবেশ করতে। এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা বৃহস্পতিবার দায়ের করে পুলিশ।এই মামলায় লালবাজারে তলব করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে এমনটা আগেই জানিয়েছিল পুলিশ।একই সঙ্গে নোটিস পেতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউও।
যাদবপুর ছাত্র মৃত্যুর পর হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হোক।বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেছিলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের ব্যবহার করা যায় কি না, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে বুধবার বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে।প্রত্যেকেই পরেছিলেন সেনার পোশাক। মাথায় ছিল লাল টুপি।তাতে লেখা ‘ভারতীয় সেনা’। এমনকি ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় সেনার প্রতীকও। জানা গেছে এটি ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থা। কাজি সাদেক ওই সংস্থার সাধারণ সচিব।ইতিমধ্যেই কাজিকে ডাকা হয়েছে থানায়। পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার নাম এবং প্রতীক অপব্যবহার করার জন্য মামলা দায়ের করছে।তবে প্রশ্ন উঠছে কেন তারা প্রবেশ করেছিলেন ক্যাম্পাসে? কারা তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল? তারা কি সেনা? নাকি আধা সেনা?
যদিও সেনার উর্দিধারীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, “আমরা বিশ্ব শান্তি সেনা।” কিন্তু কেন তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি এখনো। আর এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই পুলিশ তৎপর বলে জানা গেছে।