শিলিগুড়ি: যথাযথ যায়গায় দরবার না করাতেই শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে নিয়ে রওয়ানা হতে হয়েছিল বাবাকে? অন্তত এমনটাই দাবি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের। তবে মেডিকেল কলেজের আলাদা করে মৃতদেহ পরিবহনের কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন সুপার। গতকালই প্রকাশ্যে আসে অ্যাম্বুল্যান্সের অত্যাধিক ভাড়া মেটাতে না পেরে ব্যাগে ৬ মাসের শিশুর দেহ ভরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে বাসে করে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে যায় মৃত শিশুটির বাবা অসীম দেবশর্মা। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র।
যদিও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে সব সময়ই রোগী সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকে। কিন্তু ওই শিশুটির পরিবারের তরফে কেউ সেখানে যোগাযোগ করেনি। সম্ভবত অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সঙ্গে কথা বলেই ওই শিশুটির বাবা ব্যাগে করে দেহ নিয়ে রওয়ানা বাসে করে হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১০২ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাওয়ার কোনও তথ্যও মেডিকেল কলেজ বা সংশ্লিষ্ট পরিষেবার সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের কাছে নেই বলে জানা গেছে।
যদিও ১০২ নম্বরে ডায়াল করে মৃতদেহ পরিবহণের কোনও সুবিধে মেলেনা বলেই জানা গেছে। তবে মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেব জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। মৃতদেহ পরিবহণের ক্ষেত্রে পুরসভার তরফেও তাঁদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সবটা নিয়েই আলোচনা হবে।