উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ যাদের জেলে থাকার কথা, তাদেরকে সুরক্ষা দিয়ে পুলিশের হাত, পা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি যেভাবে একটা রাজনৈতিক দলকে মদত দিচ্ছেন, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দেওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী সংঘর্ষে জখম ১৪ তৃণমূল কর্মীকে দেখতে শুক্রবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ এসএসকেএমে ঢোকেন অভিষেক। আহতদের দেখে হাসপাতাল থেকে বাইরে বেড়িয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন তিনি। এদিন অভিষেক বলেন, “যাদের জেলে থাকার কথা, তাদেরকে সুরক্ষা দিয়ে পুলিশের হাত, পা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি যেভাবে একটা রাজনৈতিক দলকে মদত দিচ্ছেন, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। স্বাধীনতার পর এমন ঘটনা ঘটেনি”।
এরপরই সরাসরি বিচারপতির নাম নিয়ে অভিষেক বলেন,“বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এমন নির্দেশ দিচ্ছেন যে, শুভেন্দু আগামীদিনে কোনও অপকর্ম করলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। শুভেন্দু একা নন, পবিত্র কর, মেঘনাথ পাল, অশোক করণ- নন্দীগ্রামে অশান্তি সৃষ্টিকারী প্রত্যেকের আগাম জামিনের সুরক্ষা দিয়ে রেখেছেন এই বিচারপতি।”
অভিষেকের প্রশ্ন, “বিজেপির প্রতি এই বিচারপতির কিসের বাধ্যবাধকতা? কেন বেছে বেছে বিজেপির নেতাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করছেন তিনি?” আমার বিরুদ্ধেও তো ইডি, সিবিআই লাগিয়ে রেখেছে। আমি প্রোটেকশন চাইলে দেবেন? দেবেন না! বিজেপি নেতারা না চাইতেই পেয়ে যাচ্ছে! এসএসকেএমে ভর্তি থাকা নন্দীগ্রামের ১৪ জন আক্রান্তের এমন পরিস্থিতির জন্যও এদিন তিনি বিচারপতি মান্থাকেই দায়ী করেছেন অভিষেক।
এদিন তিনি আরও বলেন, “আজ বলতে বাধ্য হলাম। কারণ, শুধুমাত্র একজন বিচারপতির জন্য সমগ্র বিচারব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। সত্যি কথা বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তিনি নিতেই পারেন। তবু আমি সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলব।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রশ্নে এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।