উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোয় জমিয়ে খাওয়া দাওয়ার মাঝেই শরীরের দিকেও নজরটা যাতে থাকে। তাই ডায়েট মেনটেন করতে ভুলে গেলে চলে কীভাবে? ডায়েট মানে কমপ্লিট ভালো থাকা, ডায়েটও করবেন, মাঝে মধ্যে মন যা চাইবে তাই খাবেন। শুধু মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয় — খালি পেটে কখনওই ফাস্ট ফুড নয়, রাস্তার এগরোল বা চাউমিন বা বিরিয়ানি খাওয়া অথবা পুজোর চারদিন জমিয়ে ফুচকা। সব কিছুই চলতে পারে, তবে পরিমিত পরিমাণে।
মাটন খেতে বড্ড ইচ্ছে করছে কিন্তু আপনার ডায়েটে তো একদম বারণ, তাহলে কী করণীয়? মাটন খাওয়ার আগে কিছুটা পরিমাণ স্যালাড, ফ্রুটস বা ফ্রুট জুস খেতে পারেন। এতে আপনার মাটন খাওয়ার পরিমাণটা কমবে, কম ক্যালোরি ইনটেক হবে আবার মেটাবলিজমও বজায় থাকবে। আর ওয়ার্ক আউট মাস্ট। পুজোর চারদিন ডায়েটের বাইরে গিয়ে খাওয়া চলতেই পারে কিন্তু প্রতিদিনের ওয়ার্ক আউটের মাত্রা একটু বাড়তেও পারেন ট্রেনারের পরামর্শে।
আবার ঘুমের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। সারা রাত জেগে পার্টি করার পরে ভোরবেলা বাড়িতে ফিরলেও অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সাউন্ড স্লিপ কিন্তু জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে এবং বিনজ ইটিং এর প্রবণতা বাড়বে। ফাস্ট ফুড খাওয়া, অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে শরীরে জমতে থাকে টক্সিন। তা বার করার জন্য সারাদিনে অন্তত ৪ লিটার জল খাওয়া খুব দরকার। নিজেকে হাইড্রেট রাখুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডিটক্স ওয়াটার পান করুন। এছাড়াও রয়েছে মৌরি-আদা-জিরার জল। পুদিনা-শসা-চিয়াসিডের জল দারচিনি-আদা-জিরার জল। শসা-পাতিলেবু-পুদিনা ইত্যাদি ভেজানো জল। পুজোর এই কটা দিন হুল্লোড়ে কাটান তবে ডায়েটে কতোটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে তার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। আনন্দে থাকুন, পুজোয় থাকুন।