উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : ‘ফেলিস নেভিদাদ।’ সারা বিশ্ব মঙ্গলবার রাত থেকেই মেতে প্রভু যিশুর জন্মদিন পালন করতে। হোসে ফ্রান্সিসকো মোলিনার মুখে তাই পাঞ্জাব এফসি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ‘বনি এম’-এর বিখ্যাত সেই গানের প্রথম দুই শব্দ। আসলে হয়তো উলটোই। স্প্যানিশরা মেরি ক্রিসমাস বা বড়দিনের শুভেচ্ছাকে নিজেদের ভাষায় বলেন, ‘ফেলিস নেভিদাদ।’ নিশ্চিতভাবেই প্রভু যিশুর কাছে এদিনের রাত বারোটায় ‘ফেলিস নোচেবুয়েনো’-তে তাঁর এবং বাকিদের প্রার্থনা থাকবে দলকে জয়ে ফেরানোর। তবে একটা হারই যে তাঁকে আবার কড়া হেডমাস্টারে পরিণত করেছে, সেটা বোঝা গেল যখন ‘রক্তে আমার মোহনবাগান’ নামের ফ্যান ক্লাব বিশাল কেক এনে হাজির করেও কোচের তেমন মন গলাতে না পারায় সকলে মিলে ভিতরে ঢোকার অনুমতি পেল না। ভার্জিল ভ্যান ডায়েকের ভক্ত আলবার্তো রডরিগেজও সাবধানি গলায় বলে গেলেন, ‘স্পেনে তো আমরা ক্রিসমাসের দিন আলু ও অন্যান্য সবজি সহ রোস্টড টার্কি খাই কিন্তু এখন ম্যাচ আছে, তাই আগামীকাল একদম স্বাস্থ্যকর খাবারদাবারই খেতে হবে। ম্যাচ জিতে না হয় সুস্বাদু কিছু ভারতীয় খাবার খাব।’
মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কোচ আপাতত বড়দিনের আগে এক সান্তাক্লজের খোঁজে। এমনিতেই এফসি গোয়া ম্যাচে নেই তাঁর একাধিক অস্ত্র। প্রায় ঢালতরোয়াল ছাড়াই বুধবার তিনি দিল্লির উদ্দেশে দল নিয়ে রওনা দেবেন। দলের ১০ নম্বর পজিশনে খেলার জন্য সেরা দুই ফুটবলারই চোটের কবলে। গ্রেগ স্টুয়ার্ট জিপিএস ভেস্ট পরে পায়ের পেশির জোর বাড়ানো থেকে হালকা দৌড়োদৌড়ি করলেও দিমিত্রিস পেত্রাতোস মাঠে নেমেই দ্রুত সাজঘরে চলে গেলেন রিহ্যাব করতে। মোলিনা অবশ্য তাঁর হাতে যা আছে তাই দিয়েই ঘুঁটি সাজাতে চাইছেন। পরিবর্ত কে হতে পারে উত্তরে বলেছেন, ‘সাহাল (আব্দুল সামাদ) এমন একজন ফুটবলার যে সব পজিশনে খেলতে পারে। দলে এরকম একজন থাকলে সুবিধা হয়। এছাড়া মনবীর (সিং), লিস্টনদের (কোলাসো) মতো একাধিক ফুটবলার আছে, যারা বৃহস্পতিবার আমাদের জেতাতে পারে। যারা আছে তাদের নিয়েই ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যে নামব।’ দিমি-গ্রেগ ছাড়াও নেই আশিক কুরুনিয়ান। তাঁর চোট-প্রবণতায় বিরক্ত টিম ম্যানেজমেন্ট।
পাঞ্জাব এফসি-র হালও বিশেষ ভালো নয়। তারাও যে একাধিক ফুটবলারকে এই ম্যাচে পাবে না, এটা জেনে খানিকটা স্বস্তিতে সবুজ-মেরুন শিবির। তবে প্রতিপক্ষ নয়, আপাতত মোলিনার মাথাব্যথা নিজের দলই।