ওদলাবাড়ি: সোনার গয়না, টাকা নিয়ে পালাচ্ছিল চোর। ক্ষুধার্ত চোরের কাছ থেকে নিজের চুরি যাওয়া সোনার চেন উদ্ধারের আশায় পাত পেড়ে দুপুরে খাওয়ালেন গৃহিনী। মাছের ঝোল, ডাল, কচু শাক, লাউ চিংড়ি দিয়ে খাওয়ানো হল। কিন্তুও তাতেও উদ্ধার হল না মহিলার চুরি যাওয়া সোনার চেন। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আটক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন পাড়ার লোকজন। সোমবার ওদলাবাড়ি চেল কলোনি এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
চেল কলোনির যুবক সঞ্জয় পাল বলেন, গতকাল দুপুরে বিশাল এক বস্তা কাঁধে পাড়ার গলি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অচেনা এক যুবক। তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এরপর বস্তায় কি আছে দেখতে গিয়ে উদ্ধার হয় চুরি করা লোহার তার, কিছু বাসনপত্র এবং ওই পাড়ারই এক মহিলা জোৎস্না বর্মনের কয়েকটি পাসপোর্ট ছবি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জোৎস্না বর্মনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখা হয়। অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করতে যাচ্ছিলেন জোৎস্নাদেবী। সব কাজ ফেলে বাড়ি ছুটে এসে তিনি দেখেন ঘরের দরজা খোলা। আলমারি ভাঙা। ঘরের ভিতর সব তছনছ হয়ে রয়েছে। আলমারিতে রাখা সোনার চেন ও নগদ ১ হাজার টাকা উধাও। আটক যুবকের কাছ থেকে এরপর তল্লাশি চালিয়ে টাকা উদ্ধার করা গেলেও সোনার চেন পাওয়া যায়নি। সেই সময় পাড়ার লোকজন অমর সাহানি নামে শিলিগুড়ির ওই যুবককে মারধর করতে এগিয়ে এলেও বাধা দেন জোৎস্নাদেবী। তিনি বলেন, ‘আটক যুবকের পরিবারের লোকজন আমার সোনার চেন ফিরিয়ে দিলেই ওকে ছেড়ে দেব।’
এদিকে এতসব কান্ড যখন ঘটছে, খিদের যন্ত্রণায় কাতর সেই যুবক। তা দেখে নিজের জন্য রান্না করা খাবার ওই যুবককে খেতে দেন জোৎস্নাদেবী। যদিও শেষ পর্যন্ত সোনার চেন উদ্ধার করতে না পেরে আটক যুবককে মাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।