বানারহাট: জলের পাম্প হাউস নির্মাণের জন্য নিজের দখলে থাকা বাড়ির জমির একটি অংশ দিয়েছেলেন বানারহাট ব্লকের মোগলকাটা চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইন নিবাসী রীতা সূত্রধর। পাম্প হাউসটি চালু হলে তাকেই কাজ দেওয়া হবে বলে শাসক দল থেকে মৌখিক প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন। তবে, কাজ শেষের পর পাম্পের দায়িত্বে অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়। এরই জেরে পাম্প অপারেটরের কাজ পেতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ধর্নায় বসলেন সেই মহিলা। বুধবার দুপুরে মোগলকাটা চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনে তৈরি হওয়া পাম্প হাউসের গেটের সামনে কাজ পেতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসেন তিনি। প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘আমার উঠোনের চাকরি আমার চাই।’
রীতা সূত্রধর বলেন, ‘পাম্প হাউস নির্মাণের সময় বানারহাট ব্লকের তৃণমূলের নেতারা আশ্বাস দিয়েছিল কাজ শেষের পর তাকেই সেখানে কাজ দেওয়া হবে। সেই কথায় আমার দখলে থাকা জমি ছেড়ে দিই। নির্মাণে ব্যবহার হওয়া সিমেন্ট, লোহার রড ও নির্মাণসামগ্রী পাহারা ও রক্ষণাবেক্ষণের সব কাজ আমি করি। তৃণমূলের বানারহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং আমাকে বলেছিলেন তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে। আমি প্রায় সময় তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতাম ও বিষয়টি জানাতাম। আমাকে নিশ্চিত করেছিল আমাকেই কাজ দেওয়া হবে। কিন্তু এখন ব্লক সভাপতি ও দলের অন্যান্যরা বিষয়টি অস্বীকার করছে এবং আমাকে কাজে নেয়নি। এজন্য আমি আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ধর্নায় বসেছি। আমার বাড়ির যে অংশের জায়গায় পাম্প হাউস তৈরি হয়েছে, সেখানে প্রচুর সুপারি গাছ ছিল। এতে বছরে কিছু টাকা উপার্জন হত। কাজটি আমার অনেক প্রয়োজন, আমার স্বামী অসুস্থ। ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ ঠিক করে চালাতে পারছি না।‘
তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পাশাপাশি বানারহাট-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রবিকা বিশ্বকর্মার কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলেও তার অভিযোগ নেওয়া হয় নি বলে জানালেন রীতা দেবী। বিষয়টি নিয়ে প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি বলেন দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আসলে তারপরেই কথা হবে। তিনি কোনও অভিযোগ শোনেন নি।
এবিষয়ে বানারহাট-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবিকা বিশ্বকর্মা বলেন, ‘পিএইচই দপ্তরের একটি কমিটি রয়েছে, যারা ঠিক করেন কাকে চাকরি দেওয়া হবে। এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কোনও ভূমিকা নেই।’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং বলেন, ‘কাজের বিষয়ে মোগলকাটা চা বাগানের ওই মহিলা জানিয়েছিলেন। এখন অন্য এক ব্যক্তি কাজ করছে। আমি দু’জনকেই এই ব্যাপারে কথা বলতে বলেছি। যদি ওই ব্যক্তি এই মহিলাকে কাজ করতে দেয়, তবে আমাদের কারও কোনও সমস্যা নেই। অন্যান্য যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলি ভিত্তিহীন।‘