গৌতম দাস, গাজোল: হাতে মেরেকেটে সময় আর মোটে ২ দিন। দোল এবং বসন্ত উৎসবের অন্যতম উপকরণ আবির। তাই গাজোলের (Gazole) বেশ কয়েকটি আবির তৈরির কারখানায় জোরকদমে চলছে কাজ। নেপাল থেকে আসছে আবির তৈরির কাঁচামাল। এরপর রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে গোলাপি রংয়ের আবির। বস্তাবন্দি হয়ে সেই সমস্ত আবির চলে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
মালদা, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে ট্রাকভর্তি আবির। আবির তৈরির কাজে নিযুক্ত রয়েছেন মূলত মহিলারাই। আবির তৈরি থেকে শুরু করে প্যাকেজিং, সমস্ত কাজই নিপুণ হাতে সামলাচ্ছেন তাঁরা।
আবির তৈরির কাজে যুক্ত রয়েছেন অনিমা বৈদ্য, পূর্ণিমা রাজবংশী, বিমলা সরকারদের মতো জনাসাতেক মহিলা। তাঁদের কথায়, ‘এখন গ্রামে তেমন কাজ নেই। তাই আবির তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছি আমরা। মাসখানেক ধরে আবির তৈরির কাজ চলে। এই সময় বেশ ভালোই রোজগার হয় আমাদের। এই টাকাটা সংসারে বেশ কাজে দেয়।’ অনিমাদেবীরা জানালেন, সকাল সকাল সংসারের রান্নাবান্নার কাজ সেরে চলে আসি কারখানায়। শুরু হয়ে যায় আমাদের কাজ। দুপুরে খাবারের জন্যে কিছুটা সময় বিরতি। তারপর আবার বিকেল পর্যন্ত কাজ করি। সন্ধের আগেই বাড়ি ফিরে যাই। আবির তৈরির কাজ শেষ। এখন চলছে প্যাকেজিং-এর পালা। আবির তৈরির কাজ করে বেশ কয়েক হাজার টাকা বাড়তি উপার্জন হয়। সেই টাকা থেকে হোলির দিন কিছু খরচ করি। বাকি টাকা সংসারের অন্য কাজে লাগে।