লন্ডন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের পুরুষ দলের দাপট দীর্ঘদিনের। এবার কি সেই একই চিত্র দেখা যাবে মহিলাদের ক্রিকেটেও? নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের ঐতিহাসিক খেতাব জয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। দেশের এই সাফল্যে ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। আর এই অপ্রত্যাশিত উত্থান দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী মহিলা ক্রিকেটার অ্যালেক্স হার্টলি।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার হার্টলি মনে করেন, এই জয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল বিশ্বের এক ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিতে’ পরিণত হতে পারে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারতের এই অগ্রগতি বাকি দলগুলোর জন্য আশঙ্কার কারণ। হার্টলি বিবিসি-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভারত মহিলা ক্রিকেটের এক বিশাল ক্ষমতাধর দলে পরিণত হতে পারে। তারা কতটা এগিয়ে যাবে, তা ভাবতেও ভয় লাগছে।’ হার্টলির এই আশঙ্কার পেছনে মূল কারণ হল বিসিসিআইয়ের বিপুল অর্থ বিনিয়োগ এবং মহিলাদের ক্রিকেটে উন্নত দেশের অভ্যন্তরীণ খেলার ব্যবস্থা তৈরি করা। তিনি মনে করেন, এই জয়ের পর দেশের ভেতরে আরও অনেক বেশি আর্থিক সুযোগ তৈরি হবে। ফলে আরও অসংখ্য মেয়ে খেলাটিকে পেশা হিসেবে নিতে চাইবে।
তাঁর কথায়, ‘খেলাটির উন্নতির জন্য যে পরিমাণ টাকা ঢালা হবে এবং দেশের ভেতরের খেলার ব্যবস্থা যত উন্নত হবে, তত বেশি মেয়ে জেমিমা রডরিগেজ, হরমনপ্রীত কাউর, স্মৃতি মান্ধানা, দীপ্তি শর্মার মতো হতে চাইবে। ভারতের এই বিশ্বকাপ জয়ের ফলে আরও বেশি সংখ্যক ছেলেমেয়ে ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলতে নামবে।’
২০১৭ সালে বিশ্বকাপজয়ী হার্টলির মতে, ‘ভারতের ওপর বিশ্বকাপ জেতার বিপুল চাপ ছিল। কোটি কোটি মানুষ তাদের খেলা দেখে এবং একটা বিশাল প্রত্যাশা তৈরি হয়। তবে যখন ভারত সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পরই বোঝা গিয়েছিল, এবার ওদের আটকানো যাবে না।’ এই বিশ্বকাপ জয় প্রমাণ করল, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল এখন বিশ্ব মঞ্চে এক অদম্য শক্তি। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন। যখন ভারত পুরুষদের মতো মহিলাদের ক্রিকেটেও দীর্ঘকাল দাপট বজায় রাখবে।

