নাগরাকাটা: সিনেমার পুষ্পা লাল চন্দন কাঠ পাচার করত দুধের ক্যানের গাড়িতে। বাস্তবের চোরা কারবারিরা অবশ্য এক্ষেত্রে সেগুন কাঠ পাচারের জন্য ঢাল হিসেবে বেছে নিয়েছিল জল! তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হল কই? গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মিনারেল ওয়াটার বোঝাই গাড়িকে ধাওয়া করে নীচে লুকিয়ে রাখা সমস্ত কাঠই বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয় বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জ। বাজেয়াপ্ত হওয়া কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, ‘আমাদের চোখকে ধুলো দেওয়ার জন্যই এমন ফন্দি। এতে লাভ নেই। বনকর্মীরা সজাগ রয়েছেন। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গাড়িটি কার সেব্যাপারে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। অবৈধ কাঠ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।‘
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বন দপ্তরের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল জলের বোতল ভরতি একটি গাড়িতে কাঠ পাচারের চেষ্টা হবে। সেই মোতাবেক নাগরাকাটা লাগোয়া ১৭ নম্বর (৩১ সি) জাতীয় সড়কের টোল প্লাজার সামনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিলেন রেঞ্জারের নেতৃত্বে ডায়না বিটের বিট অফিসার স্বপন সেহ অন্যান্য বনকর্মীরা। সন্দেহজনক গাড়িটি কাছে আসতেই সেটি বনকর্মীদের দেখে পালানোর চেষ্টা করে। পালটা ধাওয়া শুরু হয় বনকর্মীদের পক্ষ থেকেও। বেগতিক দেখে কিছুটা দূরেই রাস্তার ধারে গাড়িটিকে রেখে চালক চম্পট দেন। গোপন সূত্রের খবর মোতাবেক গাড়ির ওপরে সার দিয়ে রাখা ছিল জলের বোতল। সেগুলি সরাতেই চোখ তখন কপালে ওঠার যোগাড় বনকর্মীদের। জলের বোতলগুলির নীচে একটি ত্রিপল বিছিয়ে সেগুন কাঠের লগ নিপুণ কায়দায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পরে কাঠ সহ জলের গাড়িকে বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। গাড়ি সহ সমস্ত অবৈধ কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কাঠগুলি কোন জঙ্গলের তা জানার চেষ্টা করছে বন দপ্তর। গাড়িটির গতিমুখ জাতীয় সড়ক থেকে বানারহাটের দিকে ছিল। তবে কোথায় কাঠগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটাও তদন্ত করে দেখছে বন দপ্তর।