ফালাকাটা: বর্ষার আগেই নদী ভাঙন রুখতে একশো দিনের প্রকল্পে মাটির বাঁধ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। ফালাকাটার চরতোর্ষা নদীর ধারে বালুরঘাট এলাকায় দশদিন ধরে এই কাজ চলছে। নদী পাড়ের বাসিন্দারাই কাজ করছেন। পঞ্চায়েত প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি আশপাশের জমির মালিকরা। কারণ, প্রতি বর্ষায় নদী ভাঙনের জেরে জল জমিতে ঢুকে পড়ায় চাষাবাদের ক্ষতি হয়। এবার মাটির বাঁধ তৈরি হওয়ায় কিছুটা হলেও জমির ফসল রক্ষা পাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
জলদাপাড়া বনাঞ্চল হয়ে ফালাকাটার কুঞ্জনগর, বংশীধরপুর, বালুরঘাট, কালীপুর এলাকার মাঝ বরাবর উত্তর-দক্ষিণে বইছে চরতোর্ষা নদী। ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার সড়কের চরতোর্ষা ডাইভারশনের পাশেই নদীর পূর্ব পাড়ে বালুরঘাট এলাকায় অনেকের চাষের জমি রয়েছে। কিন্তু প্রতিবার বর্ষায় নদীর ভাঙন শুরু হয়। আবার বেশি বৃষ্টি হলে নদী প্লাবিত হয়ে জল, বালি চাষের জমিতে ঢুকে পড়ে। এভাবে প্রতি বছর স্থানীয় চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তাই স্থানীয়দের তরফে বালুরঘাট এলাকায় নদী ভাঙন রুখতে প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি ওঠে। এক্ষেত্রে ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত একশোদিনের প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধের জন্য উদ্যোগী হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ মাটির বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য একশোদিনের প্রকল্পে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০৭ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজে মোট শ্রমদিবসের সংখ্যা ১৮৮০। দশদিন করে চার দফায় বাঁধের কাজ হবে। প্রথম দফার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় দফার কাজ৷ এজন্য আশপাশের জমির মালিকরাই মাটি দিতে সম্মত হয়েছেন। রোজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ চলছে। ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ অধিকারীর জানান, ‘গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এটা প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে করা হচ্ছে। আগামীতে বড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধ তৈরির জন্য সেচ দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।‘
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কের ধারে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার