তপন বকসি, মুম্বই: ৩৭ বছর পর শাবানা আজমির সামনে আবার স্মিতা পাতিল! প্রখ্যাত কুকবুক রাইটার, বিখ্যাত আন্তর্জাতিক রন্ধনশিল্পের ‘মিশেলিন স্টার’ উপাধি প্রাপ্ত শেফ, ঔপন্যাসিক তথা পরিচালক বিকাশ খান্না এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সিনেমা পরিচালনায় আসছেন। তাঁর সদ্য প্রকাশিত উপন্যাস ‘ইমাজিন্যারি রেইন’-কে ভিত্তি করে একই নামের সিনেমা তৈরি করছেন। উপন্যাসের গল্প অনুযায়ী, দিল্লি থেকে ম্যানহাটনে গিয়ে সেখানে ভারতীয় রেস্তোরাঁয় শেফ হিসেবে কাজ করতেন পঞ্চাশ পেরোনো প্রেরণা মালহোত্রা। এরপর অসময়ে ছেলেকে হারান তিনি। সম্পূর্ণ একলা হয়ে যাওয়া মধ্যবয়স্কা প্রেরণা অন্তর্দ্বন্দ্বে দীর্ণ হতে হতে একসময় ফিরে আসেন ভারতে। এভাবেই সংবেদনশীল, প্রবাসী এক ভারতীয় মহিলার অন্তর্লীন জীবনসংগ্রামকে কেন্দ্র করে বিকাশ খান্না তাঁর নতুন উপন্যাসের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করেছেন।
প্রেরণা মালহোত্রা নামে পঞ্চাশোর্ধ মহিলার চরিত্রে অভিনয় করছেন শাবানা আজমি। আর তাঁর ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন স্মিতা পাতিলের ছেলে প্রতীক বব্বর। শাবানার কথায়, ‘আমার মতে এটা হওয়ারই ছিল। আমার অভিনয় জীবনে স্মিতার ছেলে প্রতীকের সঙ্গে আমি যে অভিনয় করব, এটা নিয়তি নির্দিষ্ট ছিল। গতকালই ইমাজিন্যারি রেইন-এর চিত্রনাট্য পড়ার আসরে আমার সঙ্গে ছিল প্রতীক। খুব সামনে থেকে বসে দেখছিলাম ওকে। মা স্মিতার সঙ্গে কি ভয়ঙ্কর মিল ওর। মনে হচ্ছিল, ঠিক যেন স্মিতার সামনে বসে আছি আমি। বারবার আমার মনে স্মিতার স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছিল। আমার আর স্মিতার অভিনয় ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে আমাদের দুজনের মধ্যে যে পেশাগত প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছিল, এখন তা স্বীকার করতে কোনও অসুবিধা নেই। স্বীকার করতে অসুবিধা নেই যে, সেদিন আমাদের মধ্যেকার প্রতিযোগিতা নিয়ে লেখালেখি করা সংবাদমাধ্যমের সব লেখাই যে ভিত্তিহীন ছিল, তা নয়।‘
একথার সঙ্গে শাবানা আরও জুড়ে দেন, ‘অভিনয়ের পেশাগত জীবনে আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও বাস্তবে আমি স্মিতার পরিবারে ওর বাবা মার সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলাম। এমনকি দুজনে যখন একই ছবিতে অভিনয় করেছি, ওয়াশরুমে যেতে আমরা দুজনে একই জুতো ব্যবহার করেছি। সেকথা অনেকেই জানেন না। আমার অনেক আগেই মনে হয়েছিল আমার অভিনয় জীবনে আমি একদিন না একদিন স্মিতার ছেলের সঙ্গে অভিনয় করবই।‘