কোথাও মিষ্টিমুখ, কোথাও আদিবাসী নাচ, পর্যটন দিবসে পর্যটকদের জন্য নানা উদ্যোগ ডুয়ার্সে

উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে নানান আয়োজন করা হল ডুয়ার্সে। রিসর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা টুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পর্যটকদের আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাগত জানানো হল। বুধবার সকালে চালসা রেলস্টেশনে আলিপুরদুয়ারমুখী টুরিস্ট স্পেশাল ভিস্তাডোম ট্রেনে থাকা পর্যটকদের আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে মনোরঞ্জন করানো হয়। পরে পর্যটনকেন্দ্র মূর্তিতেও হয় আদিবাসী নৃত্য। সেখানেও পর্যটকদের মিষ্টিমুখ করানো হয়।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় লাটাগুড়িতে। ধামসা মাদল আদিবাসী নৃত্য ও বিভিন্ন ট্যাবলো সহ ক্রান্তি মোড় থেকে লাটাগুড়ি নেওড়া মোড়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। শোভাযাত্রার আগে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। মূল অনুষ্ঠানটি হয় নেওড়া মোড়ের একটি বেসরকারি রিসর্টে। যেখানে বৃক্ষরোপণ, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, পর্যটনের ওপর আলোচনা চক্র ও পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গাইড, জিপসি চালক সহ ১২ জনকে সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। লাটাগুড়ি রিসর্ট অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিবেন্দু দেব জানান, এবছর থেকে প্রথম পর্যটনের সঙ্গে যারা অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত তাদের উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়ছে। এবছর ১২ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হলেও আগামী বছর থেকে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে।

অন্যদিকে, এদিন রাজাভাতখাওয়া গেটে আদিবাসী ও বিভিন্ন জনজাতির নাচ গানে পর্যটকদের বরণ করা হল। বক্সা ও রাজাভাতখাওয়ার পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রাভা, অশুর, নেপালি জনজাতির শিল্পী কলাকুশলীরা তাদের নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি এদিন পর্যটকদের সামনে পরিবেশন করেন। ঢোল মাদলের তালে তালে বিভিন্ন জনজাতির নৃত্যের সঙ্গে পা মিলিয়েছে পর্যটকরাও। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা জয়ন্তী ও বক্সা পাহাড় ঘুরতে এসে এমনিতেই আপ্লুত পর্যটকরা। পর্যটন দিবসে এদিন যারা বেড়াতে এসেছিলেন তাদের কাছে বাড়তি পাওনা স্থানীয় বিভিন্ন জনজাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ।

পাহাড়-ডুয়ার্স জুড়ে পালিত হল বিশ্ব পর্যটন দিবস। এদিন দার্জিলিংয়ের ইন্দ্রেনি ফলসের সামনে পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দ্রেনি ফলস প্রিজার্ভেশন ও প্রোটেকশন কমিটি। পাহাড়ি ঝরনার সামনে নাচ-গানে আলাদা মাত্রা পায় অনুষ্ঠানটি। একই সঙ্গে ইন্দ্রেনি ফলসকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে রাস্তা সহ সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিও উঠে আসে অনুষ্ঠান থেকে