সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: নতুন বছরে নতুন উদ্যোগে টেবিল ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে তাতে মিড-ডে মিলে পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছিল মহকুমা শাসকের দপ্তর। স্কুল সহ শিক্ষা দপ্তরের সকল বিভাগে সেই ক্যালেন্ডার বিতরণও করা হয়েছিল বেশ উৎসাহের সঙ্গে। প্রথম দুটি মাস সব ঠিক থাকলেও, মস্ত বড় ভুল ধরা পড়ল মার্চ মাসে এসে। জেলা শাসক, মহকুমা শাসক সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের ছবি সংবলিত সেই ক্যালেন্ডার মার্চ মাসের পাতায় এসে দেখা গেল, ১৮ তারিখের পর ছাপা হয়েছে ২৯। ফের ফিরে যাওয়া হয়েছে ২০ তারিখে। এদিকে, বিষয়টি সামনে আসতেই অনেকেই সরকারি দপ্তরের এমন হাস্যকর ভুল নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে জানতেই উষ্মা প্রকাশ করেন মহকুমা শাসক অবোধ সিংহল। তাঁর কথায়, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সরকারি কাজে এমন ভুল কীভাবে হল? সরকারি কাজে যুক্ত আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ তো আবার প্রশ্ন তুলছেন, ক্যালেন্ডার ছাপার আগে কেন খসড়াটি ভালো করে খতিয়ে দেখা হল না?
মহকুমা শাসকের দপ্তরের মিড-ডে মিল সেকশনে তৈরি ক্যালেন্ডারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো লাগানো রয়েছে। ক্যালেন্ডারের মধ্যে দিন ধরে ধরে পুষ্টিযুক্ত খাবারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কোন দিন কী খাওয়ার রাখতে হবে, তা চার্টের আকারে আলাদা আলাদা করে লেখা হয়েছে। সেখানে স্পেশাল ডায়েটের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, ‘কোনও ক্যালেন্ডারের মধ্যে ভুল তারিখ এযাবৎকালে চোখে পড়েনি। সরকারি ক্যালেন্ডারের মধ্যে যদি এমন ভুল হয়, তাহলে তা দুঃখজনক। এখন তো আর ক্যালেন্ডারে তারিখ ঠিক করার পরিস্থিতি নেই। কিন্তু এমন ভুল হলে সরকারি কাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।’
জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় ক্যালেন্ডারগুলি স্কুলগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ হয়। পাশাপাশি জেলা শিক্ষা দপ্তরের অফিসগুলিতেও ক্যালেন্ডার পৌঁছে দেওয়া হয় সে সময়ই। শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ক্যালেন্ডার হাতে পাওয়ার পরও ভুলটি চোখে পড়েনি। পরে মার্চ মাসের পাতায় চোখ বোলাতেই ভুলটি সামনে আসে। খুব বড় ভুল না হলেও এমন ভুল হওয়া যে কখনও কাম্য নয়, মানছেন সকলেই।