উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিবেণি সঙ্গমের জল (Sangam wate) শুধু স্নানযোগ্যই নয়, পানেরও যোগ্য, বুধবার প্রকাশ্যে এমন দাবিই করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi)। জাতীয় পরিবেশ আদালতে কুম্ভের জল নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়োকেমিকেল অক্সিজেন ডিম্যান্ড বা বিডিও-র নিরিখে ওই জল স্নানের জন্যও উপযুক্ত নয়। আর সেই রিপোর্টেরই বিরোধিতা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ।
এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) স্নান করেছেন ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী। এভাবে ভুল রিপোর্ট পেশ করে ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ছেলাখেলা করা হচ্ছে।’ এখানেই না থেমে রিপোর্ট হাতে নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার হাতে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট রয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ত্রিবেণি সঙ্গমের কাছে গঙ্গায় বিওডির মাত্রা লিটারপিছু তিন মিলিগ্রামের কম ছিল। ডিজ়লভ্ড অক্সিজেন (ডিও)-র মাত্রা লিটারপিছু ৮-৯ মিলিগ্রামের মধ্যে ছিল। এর মানে এটাই দাঁড়ায় সঙ্গমের জল শুধু স্নানযোগ্যই নয়, ‘আচমন’ অর্থাৎ পানেরও যোগ্য।’
সাধারণত নিকাশি বর্জ্য থেকে জল যদি দূষিত হয়, তাহলে তা বোঝা যায় জলে উপস্থিত ফিকাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতির মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অনুমোদিত সীমা অনুসারে, প্রতি ১০০ মিলিলিটার জলে সর্বাধিক ২৫০০ ফিকাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়া যদি থাকে তাহলে তা খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। যোগীর দাবি, প্রয়াগরাজের জলে ফিকাল কলিফর্ম ওই অনুমোদিত সীমার মধ্যেই রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। মেলা শুরুর মুহূর্তে জল পরীক্ষা করে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রিপোর্ট আসতেই আঁতকে ওঠেন সকলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিকাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রার দিক থেকে এই জল স্নানের উপযুক্ত নয়। পাশাপাশি শাহি স্নানের দিনে আরও বেশি ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। একথা জনসমক্ষে আসতেই সমালোচনা শুরু করে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে এদিন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় মুখ খোলেন যোগী।