বেলাকোবা: সাতসকালে বাদাম খেতে কাজ করতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার বেলাকোবা রেঞ্জের অধীনে নাথুয়া চর এলাকার দাসপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। গত শনিবারই হাতির হানায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। পাঁচ দিনের ব্যবধানে ফের হাতির হানায় মৃত্যু হল। এই ঘটনায় এদিন বন দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সকাল ১০টা থেকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ ওই এলাকায় একদল হাতি হানা দেয়। সেই সময় নিজেদের বাদাম খেতে বাদাম তুলছিলেন দুই ভাই সাগর দাস এবং সাহেল দাস। আচমকা হাতি তাদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ছোট ভাই পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেও দাদা সাগরকে পিষে মারে হাতি। তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের চার মাসের এক কন্যা সন্তান, স্ত্রী, বাবা ও মা রয়েছেন।
সাগরের বাবা কৃষিজীবী জগন্নাথ দাস বন দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘প্রশিক্ষণহীন বনকর্মীদের দিয়ে চলছে হাতি তাড়ানোর কাজ। ফলে ঠিকমতো প্রশিক্ষণ না থাকায় তাঁরা হাতি তাড়াতে পারছে না বলেই এলাকায় হাতির হানা বাড়ছে। বন দপ্তরের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাদের কথায়, হাতির আক্রমণে মৃত্যু মিছিলের পাশাপাশি একরের পর একর তাদের জীবিকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। মারা গেলে যে শুধু ক্ষতিপূরণ দেয়, তাহলে আমরা উলটে ক্ষতিপূরণ দিব, তার বিনিময়ে জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে তো?
বেলাকোবার রেঞ্জার চিরঞ্জিত পাল বলেন, ‘৭৫টির অধিক একটি হাতির দল রয়েছে তাদের গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দিলেও লোকালয় চলে আসছে। গতকাল তারা গ্রামবাসীদের সচেতন করার জন্য মাইকিং করেছেন। এক্ষেত্রে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।‘