উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিপদ কাটছে না চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das)। এবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন খারিজ করতে উঠে পড়ে লেগেছে ইউনূস সরকার (Md Younus)। তার জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছে সরকারপক্ষ। আগামী রবিবার সেই আবেদনের শুনানি হবে। তার আগে জেলমুক্তি ঘটছে না চিন্ময়কৃষ্ণের।
চিন্ময় দাসের জামিনের মামলার শুনানি শেষে আজ বুধবার জামিনের রায় দেন বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মহম্মদ আলি রেজার বেঞ্চ। প্রয়া সঙ্গে সঙ্গেই জামিনে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে সরকার। যা চেম্বার আদালতের কার্যতালিকাভুক্ত হয়। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। তার শুনানি হয়নি। আগামী রবিবার আদালত আবেদনটি শুনবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবরের ২৫ তারিখে চট্টগ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের তরফে বিশাল সভা করেন চিন্ময়কৃষ্ণ। সেই সভা উপলক্ষে চারপাশ সাজানো হয়েছিল ছোট ছোট গেরুয়া কাপড়ের টুকরো দিয়ে। তেমনই একটি টুকরো বাংলাদেশের পতাকার উপরে লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করে জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ফিরোজ খানকে বিএনপি বহিষ্কার করলেও তার মামলাটি রয়েই যায়। পরে নভেম্বরের ২৫ তারিখে ইউনূস সরকার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করা হয়। বলা হয়, তিনি বিমানে ভারতে পালাতে চাইছিলেন। অথচ তাঁর কাছে চট্টগ্রামের বিমানের টিকিট পাওয়া যায়। পর দিন চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় এই চিন্ময়কৃষ্ণকে। তার পর থেকেই তিনি বন্দি। সূত্রের খবর বন্দি থাকাকালীন স্বাস্থ্যহানি হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণের। খাওয়া দাওয়ারও অসুবিধে রয়েছে এই নিরামিষাশী সন্ন্যাসীর। কিন্তু তাঁকে জামিন দেয়নি আদালত। এরপর খুনের ষড়যন্ত্র সহ আরও কয়েকটি ধারায় চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সেই থেকে জেলেই রয়েছেন এই সন্ন্যাসী।