উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একশো দিনের কাজের টাকা সহ কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্পের ন্যায্য অর্থের থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গ। এই অভিযোগে দিল্লিতে মঙ্গলবার ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্না কর্মসূচি দ্বিতীয় দিন। একই দিনে রাজধানীতে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও। তাঁদেরও দিনভর কর্মসূচি রয়েছে দিল্লিতে। এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের দিল্লি অভিযান নিয়ে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে দেশে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এটাই সবেচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনা। মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ-আন্দোলনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
জব কার্ড হোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে দিল্লি গেছে তৃণমূল শিবির। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘৩ কোটি ৮৮ লক্ষ জবকার্ড ইস্যু হয়েছিল রাজ্যে। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি ভুয়ো জব কার্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জবকার্ড রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, নয়ছয় হয়েছে টাকা। আয়ুষ্মান ভারত বাংলায় চলতে দেওয়া হয় না। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেশের অন্যান্য হাসপাতালে কাজ করে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি হয়।’
শনিবার বাঁকুড়ায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের গ্রেপ্তারির দাবি তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘অভিষেকের অনেক আগে থেকে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন বর্ষীয়ান নেতা গিরিরাজ সিং। মমতা ১৯৮৪ সাল থেকে রাজনীতি করছেন। তারও আগে সাতের দশক থেকে রাজনীতি করেছেন গিরিরাজ। উনি বিহারের রাজনীতির স্তম্ভ। আসলে রাজনীতিতে নেহাতই নাবালক অভিষেক। তাই বর্ষীয়ান রাজনীতিককে নিয়ে কী ধরনের কথা বলা উচিত জানেন না অভিষেক।’
পাশাপাশি সর্ব ভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুভেন্দুর ব্যাখ্যা, ‘অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া একটি আঞ্চলিক দল দিল্লিতে নাটক করছে। বাংলার শাসকদলের তিনটি এজেন্ডা পরিবারতন্ত্র-দুর্নীতি-তোষণ।’