রায়গঞ্জ: কেউ পিএইচডি কেউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, কেউ এমএসসি বা এমএ। কিন্তু তাতে কি চাকরির বাজার যা তাতে সামান্য বন সহায়কের চাকরি মিললেও বর্তে যান রাজ্যের বেকার যুবকরা। তাই বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন বের হতেই উচ্চ শিক্ষিত অনেকেই এই পদে আবেদন করছেন। সোমবার ছিল বন সহায়ক পদে আবেদনের শেষ দিন। জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় ২০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এদিন কর্ণজোড়ায় বন বিভাগের দপ্তরে সকাল থেকে বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে যুবক-যুবতীরা আবেদনপত্র জমা করেন। উত্তর দিনাজপুরের পাশাপাশি পাশের জেলে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকেও চাকরি প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছেন। রায়গঞ্জ বন বিভাগে গত পাঁচ দিনে বন সহায়ক পদে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল প্রায় ১৫ হাজার। বন বিভাগের কর্মীদের দাবি, এদিন ৫ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়বে। তবে দুই জেলা মিলিয়ে কতজন বন সহায়ক নেবে তা জানা নেই আবেদনকারীদের।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বন সহায়কের ২০০০ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য বন দপ্তর। সেই মতো রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্ণজোড়ায় বন বিভাগের অফিসে গত ২২ মে থেকে ফর্ম ফিলাপ চলছে। ডাক যোগেও ফর্ম জমা করছেন অনেকে।
রায়গঞ্জ বন বিভাগের বনাধিকারিক দাওয়া এন শেরপা বলেন, ‘মোট আবেদনপত্রের সংখ্যা ২০ হাজার হবে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর মিলিয়ে ৫০টি পদ আছে। হাইকোর্টের নির্দেশ আগামী ২ মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তাই বন বিভাগের কর্মীরা আগামী ৩ দিনের মধ্যে স্ক্রুটনির কাজ শেষ করবে। যারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেবেন না তাদের আবেদনপত্র বাতিল হবে।‘
এদিন ডালখোলা, করণদিঘি, হিলি, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট, ইটাহার থেকে বহু চাকরিপ্রার্থীরা ফর্ম জমা দিতে এসেছেন। বালুরঘাটের বাসিন্দা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় পদার্থবিদ্যায় এমএসসি। তিনি বলেন, ‘আবেদন করতে বালুরঘাট থেকে ছুটে আসতে হয়েছে। জানি হবে না, কারণ আমাদের জেলায় ১০ থেকে ১২টির বেশি পদ থাকবে না। তবুও মনকে বুঝ দিতে এসেছি।’ ডালখোলার বাসিন্দা কামরুল হোদা ইংরেজিতে এম এ করেছেন। বাড়িতে কিছু প্রাইভেট টিউশন পড়ান। তিনিও এসেছেন বন সহায়ক পদে আবেদন করতে। কামরুল জানান, ‘গ্রামে টিউশন পাইনা। স্কুল শিক্ষকেরা চুটিয়ে পড়াচ্ছেন। তাই এই রোদের মধ্যে ছুটে আসতে হয়েছে। ’
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বন সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগে মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চল ও সেখানে থাকা বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার কাজ করবেন এরা