কাঠমাণ্ডু: ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত নেপাল। শুক্রবার রাতে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১২০ ছাড়াল। আহত ১০০-এরও বেশি। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নেপালের ভূকম্পনের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, তার প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল সুদূর দিল্লির মাটিও। বেশ কিছুক্ষণ টের পাওয়া গিয়েছিল কম্পন। এছাড়াও ভূমিকম্পের কারণে এনসিআর, অযোধ্যা সহ উত্তর ভারতের বড় অংশের মাটিতে কম্পন অনুভূত হয়। লখনউ এবং বিহারেরও বেশ কিছু জায়গা কেঁপে ওঠে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য আনুযায়ী, শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল। কম্পনের কেন্দ্র মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। আতঙ্কে স্থানীয়রা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
Earthquake of Magnitude:6.4, Occurred on 03-11-2023, 23:32:54 IST, Lat: 28.84 & Long: 82.19, Depth: 10 Km ,Location: Nepal, for more information Download the BhooKamp App https://t.co/SSou5Hs0eO@ndmaindia @Indiametdept @Dr_Mishra1966 @Ravi_MoES @KirenRijiju @PMOIndia pic.twitter.com/XBXjcT29WX
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) November 3, 2023
নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পনের কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পশ্চিম রুকুম এবং জাজারকোটে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ভূমিকম্পে মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন। উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণের জন্য তিনটি নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে গত এক মাসের মধ্যে তিন বার কেঁপে উঠল নেপাল।