উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা পাকবধূ সীমা হায়দার এবং তাঁর প্রেমিক নয়ডার বাসিন্দা শচীন মিনার বিয়ের জন্য ভুয়ো নথি জোগাড় করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই দু’জন ভুয়ো নথি বানানোর একটি চক্রও চালাতেন বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম পুষ্পেন্দ্র এবং পবন। তারা বুলন্দশহরের বাসিন্দা। গত তিন দিন ধরে দুই অভিযুক্তকে জেরা করছিল পুলিশ। সেই সময় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সীমা এবং শচীনের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ধৃত দুজন জোগাড় করে দিয়েছিলেন। বুলন্দশহরের আহমদগড়ে জনসেবা কেন্দ্র চালান পুষ্পেন্দ্র ও পবন। এই কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু ভুয়ো আধার কার্ডও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এটিএস সূত্রে খবর, গ্রেটার নয়ডায় আসার পর সীমাকে নিয়ে বুলন্দশহরে গিয়েছিলেন শচীন। সীমাকে জেরা করে এই তথ্য পুলিশের হাতে আসার পর বুলন্দশহরের কোথায় গিয়েছিলেন দুজন, তা খোঁজ নেওয়া শুরু করে নয়ডা পুলিশ। তখনই হদিস পান পুষ্পেন্দ্র ও পবনের। তারপরই দু’জনকে আটক করে পুলিশ। জেরায় ওই দু’জন দাবি করে, শচীন এবং সীমা তাঁদের বিয়ের জন্য নথি সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। তাঁরা দু’জনই প্রথমে দাবি করেছিলেন নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই ভুয়ো নথি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সীমা এবং শচীনের বিয়ে নিয়ে সন্দেহ আরও দানা বাঁধতে শুরু হয়েছে।