নয়াদিল্লি: পাইলটের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল ভিস্তারার দু’টি বিমান। অন্তত ৩০০ যাত্রী সহ বিমানকর্মীদের প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। বুধবার দুপুরে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়েতে বিমান দু’টির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে পাইলটের সতর্কতায় তা এড়ানো গিয়েছে। যদিও কীভাবে দুটি বিমান মুখোমুখি চলে এল, তা নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিমান বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বিমানবন্দরের ২৯আর রানওয়ে থেকে টেক অফ করতে যাচ্ছিল ভিস্তারার দিল্লি-বাগডোগরা বিমান ভিটিআই৭২৫। ঠিক সেই সময়ই ২৯এল রানওয়েতে অবতরণ করছিল ভিস্তারার আহমেদাবাদ-দিল্লি ভিটিআই৯২৬ বিমান। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা দুই বিমানের সংঘর্ষ একেবারে নিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি ভিটিআই৯২৬-এর মহিলা পাইলট সোনু গিলের নজরে আসায় তিনি দ্রুত এটিসি-কে জানান।
এরপরেই এটিসির তরফে বাগডোগরাগামী বিমানটিকে টেক অফ স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ঘটনার সময় দু’টি বিমানের দূরত্ব ছিল মাত্র ১,৮০০ মিটার। পাইলট তৎপর না হলে ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা।
বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, একটি রানওয়েতে ল্যান্ডিং বা টেক অফের সময়ে অন্য কোনও বিমান চলাচল করে না। তা সত্ত্বেও কী করে একই রানওয়েতে দু’টি বিমানকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর তরফে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।