শিলিগুড়ি: ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে একরত্তি মেয়েকে তখন কোলে জাপটে ধরে বসে বাবা, মা। বাইরে বিকট আওয়াজ করে বইছে মিনি টর্নেডো। পরমুহূর্তেই টিনের চাল উড়ে গিয়ে কংক্রিটের দেওয়ালের অংশ ভেঙে পড়ল আড়াই বছরের পিহুর মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারায় শিশুটি। সেই কথা মনে করে আতঙ্কে, যন্ত্রণায় দু’চোখ ভিজে যাচ্ছে ময়নাগুড়ির বার্নিশের তমালকুমার রায় ও সনিকা রায়ের। শিলিগুড়ির এসএফ রোডের একটি নার্সিংহোমের বাইরে বসে ওই দম্পতি নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন।
পিহুর বয়স কম হওয়ায় চিকিৎসকরা তার অস্ত্রোপচার করেননি। কিন্তু মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার নার্সিংহোম সূত্রে জানান হয়েছে, শিশুকন্যার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আইসিইউ থেকে থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে এনআইসিইউতে। পাশাপাশি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৯৬ ঘণ্টা পার হলেই পুরোপুরি সুস্থ বলা যাবে পিহুকে। তবে চিকিৎসকেরা আশাবাদী দ্রুত ৯৬ ঘণ্টা পার করে সুস্থ হয়ে যাবে বার্নিশের গ্রামের একরত্তি।
অন্যদিকে, শহরের অপর এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন বার্নিশের আরেক বাসিন্দা বছর চোদ্দোর রোহিত রায়। বার্নিশ উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রটিও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে। রোহিতের বাবা সঞ্জয় বর্মন আর মা শম্পা বর্মন আহত অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন। এখানে তার চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছেন জেঠু দীনবন্ধু রায়। রোহিতের মাথায় অবশ্য ইতিমধ্যে অস্ত্রোপচার হয়েছে। আর্থিকভাবে দুর্বল দুই পরিবারের শিশুর নার্সিংহোমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে গিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।