উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের। টানা আট দিন ধরে ওই ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। ইতিমধ্যে তাঁদের উদ্ধারের জন্য মূলত পাঁচটি পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে উদ্ধারকারী দল। শুক্রবার বিকেলে সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার সময় আচমকা তীব্র শব্দ শোনা যায়। সুড়ঙ্গের ভিতরে আবার কোথাও ধস নামে। যার ফলে সঙ্গে সঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য বিকল্প পথ ভাবা হয়। উদ্ধারকারীরা এত দিন সামনের দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সুড়ঙ্গের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন। এবার উপর দিক থেকে লম্বালম্বিভাবে খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আবার নীচ থেকে একটি বিশেষ কোণ করে খোঁড়া হবে কি না, তাও ভেবে দেখা হচ্ছে।
বর্ডার রোডস্ অর্গানাইজেশন(বিআরও) সিল্কিয়ারা পর্যন্ত নতুন একটি রাস্তা তৈরি করছে। রবিবার বিকেলের মধ্যে সেই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী উদ্ধারকারীরা। সেই রাস্তার মাধ্যমেই সুড়ঙ্গে পৌঁছোনো সহজ হবে বলে জানা গিয়েছে।
সুড়ঙ্গের ৬০ মিটার গভীরে আটকে আছেন শ্রমিকেরা। এখনও পর্যন্ত খোঁড়া গিয়েছে মাত্র ২৪ মিটার। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বার করে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আটকে থাকা ৪০ জনই সুস্থ এবং নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তাঁদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। পাইপের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পাইপের মাধ্যমেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলতে পারছেন। তবে খাবার, অক্সিজেন, জল সরবরাহ হলেও সুড়ঙ্গে আটকে থাকতে থাকতে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সকলেই।
শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের(পিএমও) বিশেষ একটি দল। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উদ্ধারের পাঁচটি উপায় চিহ্নিত করেন। সেই অনুযায়ী শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।