মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার, ৩০ এপ্রিল : কথা চলছিল অনেক দিন ধরেই। এবার অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে ডিপিআর। বক্সা টাইগার রিজার্ভে বাইরে থেকে বাঘ এনে ছাড়ার জন্য প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে এনক্লোজার তৈরি হবে। টেন্ডার ডাকা হবে লোকসভা ভোটের পরেই।
বনকর্তারা বলছেন, অসম বা বিহারের কোনও টাইগার রিজার্ভ থেকে প্রথম পর্যায়ে একটি মর্দা ও দুটি মাদি বাঘ আনা হবে। তাদের এনক্লোজারে রেখে, রেডিও কলার পরিয়ে দিন দশেক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপর বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হবে। রেডিও কলার পরানো থাকায় পরবর্তীতে বাঘের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে।
রাজ্যের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘বক্সা বাঘবনে বাঘ ছাড়ার প্রস্তাব আগেই গিয়েছিল। ওই প্রকল্পের অনুমোদনও মিলেছে। তবে জঙ্গলে বাঘ ছাড়ার আগে সেখানকার বনবস্তি রিলোকেশন, প্রোটেকশন, বাঘের বসবাসের উপযোগী সমস্ত পরিবেশ পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে।’
বনকর্তারা বলছেন, এমনিতেই ভুটান ও অসমের টাইগার রিজার্ভ থেকে বাঘের আনাগোনা রয়েছে বক্সায়। নতুন সঙ্গিনীর টানে তারা আরও বেশি করে এখানে আসতে পারে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা।
বক্সার জঙ্গল বাঘেদের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেছে, বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই দাবি করেছেন। বক্সার জঙ্গলে দীর্ঘবছর ধরে স্থায়ীভাবে বাঘ বসবাস না করলেও গত কয়েক বছরে কখনও ভুটান থেকে কখনও আসাম থেকে বাঘ এসে এই জঙ্গলের অতিথি হয়ে কয়েক দিন বা কয়েক মাস কাটিয়ে ফিরে গিয়েছে।
বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বক্সা বাঘবনে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই সংলগ্ন ভুটান ও অসমের টাইগার রিজার্ভ থেকে বাঘেরা এসে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করতে পারে। ওই দুই জায়গার জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা এমনিতেই বাড়ছে। বাঘেরা নির্দিষ্ট একটি এলাকা নিজের দখলে রাখে। অসম ও ভুটানে বাঘেদের মধ্যে জায়গার দখল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। তাই বক্সা এখন অনেকেরই পছন্দ।
