হবিবপুর: রাস্তা ও সেতুর দাবি না মেটায় লোকসভা ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী। মঙ্গলবার সকালে মালদার হবিবপুর বিধানসভার মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর এলাকার ১২২ নম্বর বুথের ভোটাররা ভোট বয়কট করে ধর্নায় বসেন। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের দিন ভোট বয়কট ঘিরে জেলাজুড়ে হইচই পড়ে যায়। যার ফলে প্রশাসনের আধিকারিকরা চরম অস্বস্তিতে পড়ে যান।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আট বছর ধরে প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রশাসনের আধিকারিকরা রাস্তা ও সেতুর দাবি মেটাতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতারাও প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি। এদিন আন্দোলনের খবর পেয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে ঘটনাস্থলে যান জেলার পদস্থ আধিকারিক তথা সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং, হবিবপুরের বিডিও অংশুমান দত্ত। কিন্তু তাঁরাও গ্রামবাসীদের বোঝাতে ব্যর্থ হন। কমিশনের সমস্ত প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়নি।
প্রসঙ্গত, রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর, রামচন্দ্রপুর ওই তিনটে গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ১৩০০ ভোটার রয়েছেন। তাদের দাবি ছিল, আদিনা থেকে চাকলি পর্যন্ত যে ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে ১৬ কিলোমিটার রাস্তা কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। ফলে মানুষ চলাচলে অনেক সমস্যা রয়েছে। বর্ষাকালে জল কাঁদায় ওই এলাকার কাঁচা রাস্তায় চলাচল করা যায় না। এছাড়াও রাধাকান্তপুর এলাকায় সেতু নেই। ফলে টাঙন নদী পেরতে তাদের সমস্যা হয়। আগে রাস্তা ও সেতুর দাবিতে অনেকবার সরব হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘন ঘন পথ অবরোধ হয়েছিল কিন্তু প্রশাসনিক আধিকারিকারা তাদের আশ্বস্ত করেও কোনও কাজ করে দিতে পারেননি। ফলে এদিন লোকসভায় ভোট বয়কট করেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের পক্ষে ঝর্না বিশ্বাস বলেন, ‘নেতা থেকে প্রার্থী প্রশাসনের কর্তারা আমাদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাস্তা ও সেতুর দাবি মেটায়নি। ফলে আমরা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এদিন সঙ্গবদ্ধভাবে আন্দোলন করে ভোট বয়কট করেছি।‘ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও গ্রামবাসীরা ভোট দিতে যান নি। আমরা তাদের দাবি খতিয়ে দেখবো।‘