উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইডেনে বিশ্বকাপের ৫ ম্যাচে দর্শকরা ফেলে গিয়েছে চিপসের প্যাকেট, অন্যান্য প্লাস্টিক, জল ও কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল। আর এই আবর্জনা গুলোকে সংগ্রহ করে সেগুলোকে ফের রিসাইকেল করে জ্যাকেট ও প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরি করল একটি বেসরকারী সংস্থা। রবিবার এই সামগ্রী গুলো সংস্থার তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। সূত্রের খবর, এই জ্যাকেট গুলো ব্যবহার করবে কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মীরা। পাশাপাশি প্লাসিকের চেয়ারগুলো শহরের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় বসানো হবে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ। আর এই ম্যাচ গুলিতে ইডেনের গ্যালারিতে দর্শকদের ফেলে দেওয়া চিপসের প্যাকেট, শীতল পানীয়ের বোতল সংগ্রহ করার বরাত পেয়েছিল ‘ইউনাইটেড ওয়ে মুম্বই’ নামক একটি সংস্থা। ইডেনের সংগৃহীত আবর্জনার পরিমাণ দেখেই চক্ষু চড়কগাছ। শুধুমাত্র অপচনশীল বর্জের মোট পরিমান ৯০ হাজার ন’শো ৬ কেজি। যা ২৫টা পূর্ণবয়স্ক হাতির সমান।
জানা গিয়েছে, খেলা শেষে ইডেন পরিষ্কারের দায়িত্ব ছিল ‘ইউনাইটেড ওয়ে মুম্বই’এর ২৩ স্বেচ্ছাসেবক। সেই বর্জ্য দিয়েই তারা তৈরি করেছে পাঁচশো জ্যাকেট, এবং ১০টি বসার বেঞ্চ। শনিবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জ্যাকেটগুলি। সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, আর্বজনা সংগ্রহ করে প্রথমে পৃথকীকরণ করতে হয়। জলের বোতল, প্লাস্টিকের প্লেট, চিপসের প্যাকেটগুলোকে আলাদা করা হয়েছে। রিসাইকেল পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে জ্যাকেট, বসার চেয়ার।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের সামগ্রীকে রিসাইকেল করে বিশেষ একধরনের জ্যাকেট বানানো হয়েছে। এই সমস্ত জ্যাকেট দেওয়া হবে পুরসভার সাফাইকর্মীদের। তৈরি করা হয়েছে ১০টি বেঞ্চও। সেগুলি বসানোর পরিকল্পনা করেছে পুরসভা।
‘ইউনাইটেড ওয়ে মুম্বইয়ের কলকাতার কোঅর্ডিনেটর তুলিকা ঠাকুর জানিয়েছেন, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের কোল্ড ড্রিংক্সের বোতল ফেলে না দিয়ে কাগজওয়ালাকে বিক্রি করে দিলে সেগুলো পৌঁছে যাবে রিসাইকেলে। তাহলে সেগুলিকে ব্যবহার করে নতুন সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হবে। ‘ইউনাইটেড ওয়ে মুম্বইয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।