নাগরাকাটা: বাংলাদেশে গিয়ে ওডিশি নৃত্যের প্রশিক্ষণ দিয়ে এলেন জলপাইগুড়ির ডঃ পম্পি পাল। সম্প্রতি তিনি ওডিশি ও রবীন্দ্র নৃত্যের ওপর কাজ করা চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে সেদেশে যান। ১২০ জন বাংলাদেশি তরুণীকে ওই শিল্পী ওডিশি ঘরানার নৃত্যশৈলীর ওপর এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেন। পম্পি বলেন, ‘বাংলাদেশেও ওডিশি নাচ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সর্বত্রই যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই নৃত্যকলার সঙ্গে পরিচিত হতে পারে এমনটাই চাই।’
উল্লেখ্য, গত বছর ওডিশি নৃত্যে জুনিয়ার ফেলোশিপ পাল জলপাইগুড়ির নিবেদিতা সরণীর পম্পি। সংস্কৃতির অঙ্গনে অবদানের জন্য ফি বছর কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্টার ফর কালচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেনিং (সিসিআরটি) এর তরফে ওই ফেলোশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। সংস্কৃতি নির্ভর গবেষণাধর্মী কাজে শিল্পীদের উৎসাহিত করাই এর মূল লক্ষ্য। কেন্দ্রের ফেলোশিপ পেয়ে বর্তমানে তিনি ওডিশির সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বালিনিস নৃত্যের যোগসূত্রের ওপর কাজ করছেন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন(আইসিসিআর)-এর হয়ে সেখানকার ভারতীয় কনস্যুলুটের আওতাধীন স্বামী বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টারে ২০১৯-২০২২ এর গোড়া পর্যন্ত নৃত্যশিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছেন। সংস্পর্শে আসেন ইন্দোনেশিয়ার প্রখ্যাত নৃত্য গবেষক পদ্মশ্রী ই বায়ান দিবিয়ার। বালিনিজ নৃত্য যে ঐতিহ্যশালী ওডিশির দ্বারা প্রভাবিত এমনটাই জানাচ্ছেন ওই শিল্পী। পোল্যান্ডের হজুফ শহরেও ওডিশির ওপর একটি কর্মশালায় অংশ নেন দু’বার। আধুনিক নাচের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা পম্পির জলপাইগুড়িতে কল্পদীপ নামে নাচ শেখানোর একটি স্কুলও রয়েছে।