উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার সীমানা সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালেই বাংলার সঙ্গে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের যে সীমানা রয়েছে, তা ‘সিল’ করে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই দুই রাজ্যের সীমানায় তল্লাশি, নিরাপত্তা এবং সিল করা হবে। তাই এখন থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে।
সীমান্ত পেড়িয়ে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে খুন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন স্বয়ং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীকে দিয়েও রাজ্যে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগ উঠেছে বহুবার। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সীমানা সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাতে বেশি সময় নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও সক্রিয় করা হয়েছে। দুই রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে ভবানী ভবনে বৈঠক শেষ করে মনোজ মালব্য বলেন, ‘পটনায় তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। তাঁরা বলেছিলেন, পুলিশেরও এই ধরনের একটা বৈঠক হওয়া দরকার। তাই এই বৈঠক হয়েছে। এখানে মাওবাদী সমস্যা, আন্তঃরাজ্য অপরাধ, সাইবার অপরাধ–সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়েও কথা হয়েছে।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার কয়েকমাস আগে থেকেই বেশ কয়েকটি ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোমা–বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। সেসবের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিহার–ঝাড়খণ্ড থেকে অস্ত্র ঢুকছে এই বাংলায়। বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এখানে। তাই অপরাধ বাড়ছে। এই বিষয়ে বিহারের ডিজি রাজিন্দর সিং ভাট্টি বলেন, ‘মুঙ্গেরের পাশাপাশি বেআইনি অস্ত্র অন্যত্র থেকেও তৈরি হয়। আমরা নিজেরা আলোচনা করেছি। অস্ত্র কারবারিদের তথ্য নিয়ে।’ এছাড়া রাজ্যের অনেক খুনের সঙ্গেই বিহার–ঝাড়খণ্ডের শার্প শুটারদের জড়িত থাকার ঘটনাও সামনে এসেছে।