উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়, ক্যানিং, ডোমকল, চোপড়া সহ রাজের বহু জায়গায়। এই সব গ্রামগঞ্জে পঞ্চায়েত গঠন হবে বিনা ভোটেই, অর্থাৎ ভোটাভুটি হবে না। এই তালিকায় রয়েছে, ভাঙড়ের ১ নম্বর ব্লকের প্রায় ৭০ শতাংশ বুথ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক, গোটা চোপড়া, বজবজ, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, দিনহাটার একাধিক বুথে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় এবার অনেকটাই কম জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনের সংখ্যা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে ভোটাভুটিই হয়নি। অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গোটা বীরভূম জেলা পরিষদ জিতে নিয়েছিল তৃণমূল। এবার রাজ্যে ১২ শতাংশ আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। তবে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম গত পঞ্চায়েতের তুলনায় দ্বিগুণ বা তার বেশি প্রার্থী দিতে পেরেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, ভাঙড়, চোপড়া, ক্যানিং সহ বহু জেলায় তৃণমূল বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। যদিও তৃণমূলের পালটা যুক্তি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়ার মতো বিরোধীরা প্রার্থীই পায়নি। বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতেই বিরূপ মন্তব্য করছে।
জানা গিয়েছে, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে মোট ২১৩টি বুথের মধ্যে ১৫৪টি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী নেই। এই বুথগুলিতে ৮ জুলাই কোনও ভোটই হবে না। প্রার্থীরা সবাই বিনা ভোটে জিতে গিয়েছেন। ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে তবু ৫৯টি বুথে ভোট হবে। কিন্তু ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ২৫৬টি বুথে কোনও ভোটই হবে না। আর ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের অর্ধেকের বেশি বুথে ভোটগ্রহণ হবে না। ২ নম্বর ব্লকের ২০৫টি বুথের মধ্যে ১২৩টিতে সব প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছেন। একই ভাবে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের চোপড়া ব্লকে কোনও ভোটই হবে না।
কেষ্টহীন বীরভূমেও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি, বাম কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূম থেকে কোনও হিংসার ঘটনার খবর আসেনি। বীরভূমের লাভপুর ব্লকের ১৭৮টি বুথের মধ্যে ৫৯টি বুথে ৮ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে না। দিনহাটা ২ ব্লকের ২৩৬টি বুথের মধ্যে ভোটাভুটি হবে না ৩৬টিতে।