নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ঘিরে নাটকের সাক্ষী থাকল রাজ্যসভা। তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের একটি মৌখিক অর্ডার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। মঙ্গলবার সংসদের শুরুর দিকে জগদীপ ধনকর ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করার কথা জানালেও বেলা গড়াতে সামনে এল অন্য তথ্য। জানানো হয়, তৃণমূল সাংসদ সাসপেন্ড হননি।তৃণমূলের রাজ্যসভার আরেক সাংসদ সাকেত গোখলেও টুইট করে জানিয়ে দেন ডেরেক সাসপেন্ড হননি, ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে।
As always, Modi Govt’s largest multimedia agency leads & godi channels dutifully spread brazen FAKE NEWS.
MP @derekobrienmp has NOT been suspended. Even though that’s what Modi Govt desperately wants. https://t.co/N5aglXv9XE
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) August 8, 2023
সংসদের বাদল অধিবেশনকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল রাজ্যসভা। মণিপুর ইস্যুতে স্লোগান চলছিল। ডেরেক ও’ব্রায়েন এদিন সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে সরব হন। আর তা নিয়েই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের সঙ্গে। জানা যায়, অসংসদীয় আচরণ এবং চেয়ারকে অবমাননার অভিযোগে সেইসময় তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল। বিজেপি সাংসদের এই প্রস্তাবে তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তারপরই ডেরেককে ‘সাসপেন্ড’ করেন চেয়ারম্যান। তাঁকে রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও বলেন। জানা যায়, সংসদীয় প্রথামাফিক ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব নিয়ে ভোটিং করার যে প্রক্রিয়া সে পথে হাঁটেননি গোয়েল। এরপরই রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি রাখেন ধনকর৷ সূত্রের খবর, ডেরেককে শাসক শিবিরের তরফে প্রকাশ্যে সভায় দুঃখপ্রকাশ করতে বলা হয়, যদিও ডেরেক তা করতে অস্বীকার করেন। কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টির প্রতি নজর রাখছিলেন। তিনিও ডেরেককে নিজের অবস্থান থেকে পিছু না হঠার নির্দেশ দেন।
এদিকে আদৌ কি রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে? নাকি করা হয়নি? এই নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। যদিও তৃণমূলের আর এক সাংসদ তথা মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইটে দাবি করেন, ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়নি। অন্যদিকে, রাজ্যসভা সূত্রেও জানা গিয়েছে, ডেরেকের সাসপেন্ডের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ডেরেককে সাসপেন্ড করা হলে বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র হবে। সেকথা মাথায় রেখেই তাঁকে বহিষ্কার করা থেকে এদিন বিরত থাকেন ধনকর।