ফুলবাড়ি: সামনেই দুর্গাপুজো। বাঙালির বড় উৎসবে লক্ষ্মী লাভের আশায় শোলার কদম ফুল তৈরিতে ব্যস্ত মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের তপসিতলা এলাকার নারদ বর্মন। গ্রামবাংলায় পুজোর সময় শোলার ফুলের ভালো চাহিদা থাকে। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পুজোর দেড় মাস আগে থেকেই শোলার ফুল তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে শোলা গাছ সংগ্রহ করে তার ছাল ছাড়িয়ে শুকিয়ে নিতে হয়। তারপরেই শুরু হয়ে যায় ফুল তৈরির কাজ।
বর্তমানে নারদ বর্মনের শোলার ফুল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রধান কাজ গাছ কাটা। সারা বছর বিভিন্ন পাইকারদের গাছ কেটে থাকি। পুজোর দেড় মাস আগে থেকে গাছ কাটার কাজের পাশাপাশি বাড়িতে ব্যস্ত থাকি শোলার ফুল তৈরিতে। লক্ষ্য থাকে দুই থেকে আড়াই হাজার ফুল তৈরি করার। সবটাই করতে হয় হাতে। গত চার বছর ধরে পুজোর আগে শোলার ফুল তৈরি করছি। পুজোর সময় সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন স্থানীয় বাজারগুলোতে তিনি নিজেই ফুল বিক্রি করেন। প্রতি ডজন ফুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক সময় স্থানীয় কিছু জলাশয়ে শোলা গাছ পাওয়া যেত। কিন্তু, বর্তমান সময়ে বর্ষায় সেই জমিতে আবাদ করায় স্থানীয় এলাকায় শোলা গাছ পাওয়া যায় না। চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন জায়গায় অনেক চাষি শোলার চাষ করেন। বর্তমানে চাষিদের কাছ থেকে শোলা কিনে আনতে হয়।’
এবছর তিনি মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের পখিহাগা এলাকার এক চাষির কাছ থেকে চারশো টাকা দরে জমি থেকে শোলা গাছ কেটে এনেছেন। পুজোর সময় শোলার ফুলের আদলে তৈরি থার্মোকলের ফুলও বাজারে আসে। তবে মানুষের মধ্যে আসল শোলার ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। ফুল তৈরিতে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর স্ত্রী কবিতা বর্মন ও ছোট মেয়ে পূর্ণিমা বর্মন। তিনি বলেন, ‘ঠিকমতো শোলার ফুল তৈরি করতে পারলে। পুজোর সময় লক্ষী লাভ বেশ ভালোই হয়। পরিবারের সবাই মিলে পুজোটা বেশ আনন্দে কাটানো যায