রতুয়া: প্রকৃতির রোষে বিপর্যস্ত সিকিম। তিস্তার ধ্বংসলীলায় নিখোঁজ বহু মানুষ। একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। এরমধ্যে অনেকেরই খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকেরা। মালদার রতুয়া থানা পাড়ার বাসিন্দা তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সুশান্ত সাহা (২৪) তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন সিকিমে। ১ অক্টোবর শিলিগুড়ি থেকে বাইকে করে সিকিমের গুরুদংমার লেকের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা। অন্য দুজনের বাড়ি শিলিগুড়ি এবং বিহারে। ৩ অক্টোবর বিকেলে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল পরিবারের সঙ্গে। তারপর থেকেই আর কোনওভাবে যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে না সুশান্তদের। চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাবা-মায়ের। বিভিন্ন খবরে সিকিমের ভয়াবহ ছবি দেখে আঁতকে উঠছে পরিবারের সকলেই।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টা পরেও নামছে ধস, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক রাস্তা। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এখনও নিখোঁজ শতাধিক মানুষ। ভারতীয় সেনা এবং এনডিআরএফ জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।