মেটেলি: স্বাধীনতার আগেই ক্ষিতিশচন্দ্র চক্রবর্তী ও তাঁর ছেলে অনিলকুমার চক্রবর্তী মেটেলি বাজারের নিজ বাসভবনের স্থায়ী মন্দিরে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। তার পর কেটে গিয়েছে কয়েক দশক। পূর্ব পুরুষদের শুরু করা সেই পুজো পুনরায় শুরু করেছে উত্তরসূরীরা। এবারে তাঁরা ষষ্ঠ বর্ষের দুর্গাপুজো করবে। মেটেলি বাজারের চক্রবর্তী বাড়ির পুজো এবারে ষষ্ঠতম বর্ষের। বাড়ির পুজো হলেও এই পুজোয় শামিল হয় প্রতিবেশী সহ অনেকেই।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার আগেই চক্রবর্তী বাড়ির পুজো শুরু হয়। সেই সময় বাড়ির স্থায়ী মন্দিরেই পুজো হতো। এরপর ১৯৭৫ সাল নাগাদ সেই মন্দিরের বদলে বাড়িতে হতো পুজো। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। কিন্তু কাঠের সেই পুরোনো মন্দির এখনও রয়েই গিয়েছে। কয়েকবার পুজোর পর নানান কারণে সেই পুজো কয়েক দশক বন্ধ থাকে। পূর্ব পুরুষদের শুরু করা সেই পুজো ২০১৮ সাল থেকে ফের নতুন করে শুরু করে চক্রবর্তী পরিবারের দুই ভাই পিনাকী চক্রবর্তী ও সৌমেন চক্রবর্তী। তবে ব্রিটিশ আমলে সেই মন্দির এখনও আছে। মন্দিরটির ভগ্ন দশা অবস্থা। বাড়ির পুজো হলেও এতে শামিল হয় পাড়ার লোকজন সহ অনেকেই। দুই ভাই সহ বাড়ির লোকজনই পুজো করে। পুজোর মন্ত্র থেকে ঢাক বাজানো সবেই করেন বাড়ির সদস্যরা। পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়িতেই তৈরি করা হয় খোলা মণ্ডপ।
পিনাকী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার বাপ ঠাকুরদা এই পুজোর সূচনা করেন। মাঝে কয়েক দশক পুজো বন্ধ ছিল। গত পাঁচ বছর ধরে আমরা নতুন করে এই পুজো করে আসছি। এবারের পুজো ষষ্ঠতম বর্ষের। প্রথমাতে মণ্ডপেই ঘট স্থাপন করে পুজো করা হবে। নয়দিন ব্যাপী হবে পুজো। মালবাজার থেকে নিয়ে আসা হবে প্রতিমা। আমরা আমাদের সাধ্যমতো এই পুজো চালিয়ে যাবো। পুজোয় সকলের জন্য থাকবে ভোগের ব্যবস্থাও।