উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ তিনদিন আগেই তৃণমূলের সাধারন সম্পাদকের পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল কুণাল ঘোষের। আর এই ঘটনার পর কুণালের একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল দল। আর এরপরই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আসরে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শনিবার নিজের গাড়িতে কুণালকে সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যান ডেরেওক ও ব্রায়েনের অফিসে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে কুণাল বললেন, তৃণমূলে ছিলাম আছি থাকব। তাহলে কী কুণাল ঘোষকে নিয়ে সমঝোতার পথে তৃণমূল?
জানা গিয়েছে, এদিন সাড়ে ১২টা নাগাদ কুণাল ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের বেকবাগানের বাড়িতে নিয়ে যান ব্রাত্য বসু। এক ঘণ্টা ধরে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠক শেষে গান গাইতে গাইতে বের হন কুণাল। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি বন্ধু ব্রাত্য বসুর সঙ্গে এসেছিলাম ডেরেকের বাড়িতে। সেখানে ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে এখানে এসেছিলাম। সেখানে কিছু কথা হয়েছে, সেসব কিছু বলব না।”
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ কেড়ে নেওয়া প্রসঙ্গে এদিন কুণাল বলেন, “আমি এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও চিঠি পাইনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম আছি থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। আমি তৃণমূলের গর্বিত সদস্য। আসলে পদ গৌণ, মূল কথা হল আস্থা ভালোবাসা। আমাকে দল যেখানে পাঠাবে সেখানেই নির্বাচনি প্রচারে যাব। ইতিমধ্যে অনেকেই আমাকে নির্বাচনি প্রচারে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দল বললে অবশ্যই সেখানে যাব।”
তাহলে কি তৃণমূলে গলল কুণালের বরফ? কুণাল ঘোষ কি ফিরে পাচ্ছেন তৃণমূলে হারানো পদ? তা সময়ই বলবে।