হরিশ্চন্দ্রপুর: ডেপুটেশন দিতে গিয়ে পুলিশের সামনেই বাম-কংগ্রেস জোটের পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এনিয়ে সোমবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জোটের প্রধানকে হেনস্তার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছুই বলতে চাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যকে নিয়ে ৭ দফা দাবিতে প্রধান মৌসুমী দাসকে ডেপুটেশন দিতে যান। প্রধান ও জোটের অন্য সদস্যরা প্রধানের কাছে পাঁচজনকে যাওয়ার অনুমতি দেন। এতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে পুলিশের সামনেই জোটের নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য এবং শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলির অভিযোগ, ‘বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদের কোনওরকম পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। বাসিন্দা শংসাপত্রের পাশাপাশি অন্য শংসাপত্রের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সুপারিশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমরা এটার বিরোধী। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে যাতে এলাকার কোনও বাসিন্দা বঞ্চিত না হন, সেই দাবিতে আমরা আজ ডেপুটিশন দিয়েছি। কোনওরকম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে জোটের উপপ্রধান জুল মোহাম্মদের বক্তব্য, ‘আমরা কোনওরকম বাছ বিচার করে পরিষেবা প্রদান করি না। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর এতেই শাসকদলের কিছু নেতার আপত্তি রয়েছে। এদিন ওরা দলবেঁধে প্রধানের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা এটা আইন মাফিক করতে বলাতেই ওরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।’
অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা জানিয়েছে, ডেপুটেশন শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। কোনও গণ্ডগোল হয়নি।